জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা ॥ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না

39

Sylhet City & Dist BNP Photo- 29.03.15দেশব্যাপী গুম, খুন ও সরকারী সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমদকে অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল লালদীঘির পার থেকে শুরু হয়ে বন্দরবাজার পয়েন্ট সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশের যে নব্য বাকশালী সরকার কায়েম হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সর্বাত্মক এগিয়ে নেওয়ার জন্য জনগণকে উদাত্ত আহবান জানান। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে এক ভয়াবহ ধ্বংসের দিকে টেলে দিচ্ছে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার। এই স্বৈরাচারী সরকার এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, ইফতেখার আহমদ দিনারসহ অসংখ্য বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের গুমের ধারাবাহিকতায় আজ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমদকে গুম করেছে কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত অতীতের কোন স্বৈরাচার শাসকের মতও তারাও গুম খুন করে বেশী দিন ঠিকে থাকতে পারবে না। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সালাউদ্দিন আহমদকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের এই গণজাগরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে গণতন্ত্র পুন প্রতিষ্ঠার আহবান জানান। বক্তারা গতকাল জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম‘র বাস ভবনে সরকারী দলীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক গান পাউডার, পেট্রোল বোমা দিয়ে তার বাস ভবনে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এই সব হামলা করে গণ আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারী দেন। বক্তারা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ বিরোধী দলের গুমকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে পরিবারের কাছে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে, বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে চলমান অবরোধের পাশাপাশি সোমবার ভোর ৬ টা থেকে বুধবার ভোর ৬ টা পর্যন্ত দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক ৪৮ ঘন্টার হরতাল পালনের জন্য সিলেটের সর্বস্তরের শ্রেণীয় পেশার মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট নুরুল হক, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দিলদার হোসেন সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আহমদ, আব্দুল মান্নান, এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মিফতাহ সিদ্দিকী, মহানগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, আহবায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মোঃ নাজমুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, কামরুল হাসান শাহীন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য রেজাউল করিম আলো, মুফতি নেহাল উদ্দিন, আব্দুল জব্বার তুতু, মুকুল মোর্শেদ, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ‘র সাবেক সদস্য ভিপি মাহবুবুল হক চৌধুরী, শামীম আহমদ, কাজী মুহিবুর রহমান, বজলুর রহমান, মামুনুর রহমান মামুন, শাহজাহান চৌধুরী, লায়েছ আহমদ, শামীম হেলালী রায়হান আহমদ, আব্দুল হাদী মাছুম, আব্দুল আজিজ লাকী, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, নাহিদ চৌধুরী, মাসুম আহমদ চৌধুরী, শাহ মাহমুদ আলী, আব্দুল লতিফ খান, আব্দুর রহমান, খোকন মিয়া, আব্দুর রহিম, সেলিম চৌধুরী, ফরিদ আহমদ, মুহিবুজ্জামান, সাব্বির আহমদ, শাহীন আহমদ, মইনুল ইসলাম, মঞ্জুর হোসেন মজনু, ছাত্রদল নেতা নাজিম উদ্দিন পান্না, মনিরুল ইসলাম তুরণ, আব্দুল হাশিম জাকারিয়া, হানুর ইসলাম ইমন, আব্দুর রউফ, কামরান হোসেন হেলাল, সোহেল আহমদ সোহেল, খালেদ আহমদ মিলু, রুণু আহমদ, সুমেল আহমদ চৌধুরী, কামরুল হাসান, সোহেল ইবনে রাজা, দেলওয়ার আহমদ, শাহ আকাব উদ্দিন, মাজেদ খান, আব্দুল আহাদ সুমন, সাইদুর রহমান, দিলদার হোসেন শামীম, আব্দুল্লাহ হেলাল, দুলাল রেজা, আলী আকবর রাজন, আনহার খান রাজু, নীল উৎপাল ভট্রাচার্য্য, আহমদ শাহীন, কাওসার হোসেন রকি, সুমন আহমদ বিপ্লব, আব্দুস সোবহান আজাদ, হোসেন খান ইমাদ, আহমদ রিপন, রোমন আহমদ, নাহিদ হোসেন, পল্লব রায়, সাখাওয়াত হোসেন রেনু, মাসুম আহমদ চৌধুরী, আশরাফ রাহাত, মোস্তাক আহমদ, দেলওয়ার হোসেন, শাহজাহান আহমদ, জমির আহমদ জমির, আব্দুস সামাদ, টিপু আহমদ, সাবুল আহমদ রণি, আব্দুস সালাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি