এস এম রাজু জৈন্তাপুর থেকে :
জৈন্তাপুর সীমান্তের উপজেলার বাইরাখেল থেকে বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড (বিজিবি) কর্তৃক অভিযান চালিয়ে ১০ বস্তা ভারতীয় সুপারী আটকের সময় চোরাকারবারী ও বিজিরি সদস্যদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীরা বিজিবি‘র চোখে ধূলা দিয়ে সুপারীর বস্তাগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় চোরাকারবারীদের প্রতিহত করতে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে ৮ বস্তা সুপারীসহ ১ জনকে আটক করে। ঘটনার খবর পেয়ে ৪১ বিজিবি’র কমান্ডিং অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বিজিবির টহলরত এক সদস্য জানান, গতকাল ১৭মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জৈন্তাপুর উপজেলার বাইরাখেল সীমান্তের ১২৯৫ সংলগ্নস্থ থেকে লালাখাল বিজিবি‘র হাবিলদার হারুনের নেতৃত্ব টহল টিম অভিযান চালিয়ে ১০ বস্তা সুপারী আটক করে। আটককৃত সুপারী নিয়ে লালাখাল ক্যাম্পে যাওয়ার পথে চোরাকারবারী সঙ্গবব্ধ সদস্য বাইরাখেল গ্রামের আব্দুল খলিলের পুত্র সোহেল আহমদ(৩০) এর নেতৃত্বে বিজিবি‘র উপর হামলা চালিয়ে ১০ বস্তা সুপারী ছিনিয়ে যায়। এ ঘটনার পর পর লালাখাল সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবির সদস্যরা দ্রুত বাইরাখেল এলাকায় তাদের টহল দলের শক্তি বৃদ্ধি করে চোরাকারবারী দলনেতা সোহেলকে আটক করে। বাইরাখেল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮ বস্তা সুপারী উদ্ধার করে। এ দিকে আটক সোহেল এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাইরাখেল গ্রামের সিদ্দিক আলী‘র ছেলে রশিদ আহমদ(৫০), ময়না বস্তি গ্রামের হাফিজুল হকের ছেলে বাবুল হক(৫৫), বেলাল হোসেন (৩২), আমির হোসেন(২৫), একই গ্রামের রশিদ আহমদ‘র ছেলে শাহিন আহমদ (৩০), একই গ্রামের হাসিমুল হকের ছেলে নুর আহমদ (৩৫), বাইরাখেল গ্রামের মতিউর এর ছেলে ফয়সল (২০), নাজিমুল হক (২২), একই গ্রামের মসদ্দর আলীর ছেলে লায়েক আহমদ (২৫), গুয়াবাড়ী গ্রামের মুক্তার আহমদ‘র ছেলে রুবেল আহমদ (২২), জুনেদ হোসেন(২০)কে আটকের চেষ্টা করে বিজিবি। এ ঘটনার খবর পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে বিজিবি ৪১ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল শাহ আলম চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুরাইঘাট কোম্পানি কমান্ডার নুর আক্তার, লালাখাল বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুরেন্দ্র, দরবস্ত ইউ/পি চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, ইউপি সদস্য আব্দুস শুক্কুর। বিজিবি ৪১ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্ণেল শাহ আলম চৌধুরী বলেন- আটক সোহেলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত সোহেল বিজিবি‘র হাতে আটক রয়েছে।
