আশা জাগিয়েও হারলো টাইগাররা

25

final_01_BG_725402706স্পোর্টস ডেস্ক :
টান টান উত্তেজনাই খেলার আসল আনন্দ। তেমনি একটি ম্যাচ উপভোগ করলো বিশ্বকাপের ১১তম আসরের দর্শকরা। বাংলাদেশ এবং স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার উত্তেজনাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য আরও ফুটিয়ে তুলেছে।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে ২৮৯ রানের টার্গেট দেয় টাইগাররা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অনেকটা চাপের মধ্যে থেকে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৮ ওভারের পঞ্চম বলে জয় তুলে নেয় কিউইরা। এ জয়ের ফলে বিশ্বকাপের এ আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকার খেতাব থরে রাখলো।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে মার্টিন গাপটিল তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ট শতক। মূলত গাপটিল-টেলর জুটি কিউইদের জয়ের ভিতটা গড়ে দেন।
২৮৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাওয়ার প্লে’তে সাকিব একই ওভারে কিউদের দুই উইকেট তুলে নেন। এরপর গাপটিল-টেলর ১৩১ রানের বড় পার্টনারশিপ গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান। এরই মধ্যে ৯৪ বল থেকে শতরান তুলে নেন গাপটিল।
৩০তম ওভারে বল করতে এসে সাকিব আবারও আঘাত হানেন কিউই শিবিরে। এবার ফেরালেন সেঞ্চুরিয়ান গাপটিলকে।
সাকিবের পর ম্যাচের ৩৮তম ওভারের ৫ম বলে রুবেল হোসেনে ফেরান গ্রান্ট এলিয়টকে। তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে এলিয়ট করেন দলের পক্ষে অত্যন্ত কার্যকরী ৩৯ রান।
৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রস টেলরকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠান নাসির। টেলর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। আউট হওয়ার আগে টেলর ৯৭ বল মোকাবেলা করে ৫৬ রান সংগ্রহ করেছেন।
৪৪তম ওভারের চতুর্থ বলে রঞ্চিকে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন সাকিব।
বাংলাদেশের হয়ে কিউইদের চার ব্যাটসম্যানকে ফেরান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
দলীয় ২৭ রানের মাথায় একস্ট্রা কাভার দিয়ে বল তুলে দিতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন ম্যাককালাম। একই ওভারেই উইলয়ামসন তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।
টাইগারদের দেওয়া ২৮৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামে গাপটিল এবং ম্যাককালাম জুটি। বাংলাদেশের হয়ে বোলিংয়ের সূচনা করেন সাকিব আল হাসান। শুরুর ওভারে কোনো রান নিতে দেননি কিউইদের।
এর আগে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং প্রদর্শনীতে ২৮৮ রানের বড় পুঁজি সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৫০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে এ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়লেও মাহমুদুল্লাহর কাঁধে ভর করে বিপর্যয় সামলে ওঠে বাংলাদেশ। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে সৌম্য সরকার তুলে নেন তার প্রথম অর্ধশতক।
সৌম্য আউট হয়ে ফেরার পর দ্রুত ফিরে যান সাকিব ও ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম। এরপর রিয়াদের সঙ্গে জুটি বেঁধে ঝড়ো গতিতে রান সংগ্রহ করেন সাব্বির রহমান। ২৩ বলে ৪০ রান করেন সৌম্য।
১২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এ রান সংগ্রহ করতে রিয়াদ খেলেন ১২৩ বল।
ম্যাচের ৩৯ ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যান্ডারসনকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। আউটি হওয়ার আগে মুশফিক করেন ২৫ বলে ১৫ রান।
ভেট্টোরির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ম্যাচের ৩৪তম ওভারের শেষ বলে অনেকটাই অবিবেচকের মতো ব্যাট চালিয়ে আউট হন তিনি। ১৮ বলে ২৩ রান সংগ্রহ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
১০ ওভার বল করে ৫৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে কিউইদের সেরা বোলার ট্রেন্ট বোল্ট।