জুড়ী উপজেলা উপ-নির্বাচনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও হুইপ সমর্থিত প্রার্থী মুখোমুখি

20

কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
জুড়ী উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে তৃণমূল আ’লীগ প্রার্থীর বিদ্রোহী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলয়ের প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রী। উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জুড়ী উপজেলা আ’লীগ স্পষ্ট দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ফলে আ’লীগ ঘরনার ভোটাররা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। অপরদিকে বিএনপি’রও রয়েছেন ৩ প্রার্থী।
জানা যায়, গত বছরের ২২ নভেম্বর জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোমিত আসুক মারা যান। চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হলে জেলা নির্বাচন অফিস ২৯ মার্চ চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করে। এ প্রেক্ষিতে গত ২৩ ফেব্র“য়ারি জুড়ী উপজেলা আ’লীগের তৃণমূলের ভোটে বদরুল হোসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। পরাজিত প্রার্থী সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যানের স্ত্রী গুলশান আরা মিলি দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হন।
গত ১০ মার্চ মঙ্গলবার মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন হলেও তৃণমূলের মতামতের বাইরের বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে ক্ষমতাসীন আ’লীগের দুই প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তৃণমূল আ’লীগের ভোটে উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতৃবৃন্দ। তৃণমূলের ভোটে বিজয়ী প্রার্থী জেলা আ’লীগ সভাপতি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ ও বর্তমান হুইপ আলহাজ শাহাব উদ্দিন সমর্থিত এবং গুলশান আরা মিলি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী সমর্থিত বলে জানা গেছে।
দলীয় সূত্র আরো জানায় তৃণমূল আ’লীগের ভোটের ফলাফল আ’লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পরও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে অবস্থান নেওয়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলয়ের প্রার্থী মিলি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।
অপরদিকে গত ২৫ ফেব্র“য়ারী বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের এক সভায় জুড়ী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ মিঠু জানান কেন্দ্রিয় বিএনপির নির্দেশে আসন্ন জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন বয়কট করেছে বিএনপি। তবে কেন্দ্রিয় এই নির্দেশ উপেক্ষা করে বিএনপি’র ৩ প্রার্থী উপনর্বিাচনে চেয়াররম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছনে। তারা হলনে সাবকে প্রতমিন্ত্রী অ্যাড. এবাদুর রহমান চৌধুরী বলয়রে গিয়াস উদ্দনি, গত উপজলো নির্বাচনে পরাজতি প্রার্থী বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন মিটু সমর্থিত হোসনে আরা বেগম ও যুবদল নতো আব্দুল মুহতি শিপলু। চেয়ারম্যান পদে আরেক প্রার্থী রয়ছেনে হাজী তাজুল ইসলাম তারা মিয়া।
জেলা নির্বাচন অফিসার কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান শেষ দিনে মো. এ মজিদ নামে এক প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল ১১ মার্চ বুধবার প্রতিদ্ব›িদ্ধ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ জানান, তৃণমূলের ভোটে জুড়ী উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে বদরুল হোসেন আ’লীগ প্রার্থী। দলীয় নেতা-কর্মীরা তার পক্ষে কাজ করছে। তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদক জানান বিষয়টি দলীয় হাইকমান্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী এম.পি’র মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।