আরজুমন্দ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় যেখানে গড়ে উঠবে ভবিষ্যৎ আশার আলো

27

এস এম রাজু, জৈন্তাপুর থেকে :
সৈয়দ আরজুমন্দ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীরা বর্তমান শিক্ষা ও পরিবেশ বান্ধব সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন। সরকারী সহায়তায়ই বদলে দিতে পারে এ বিদ্যালয়ের শতাধিক কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আশার আলো। সরকারী সহযোগিতা ছাড়া শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে শতাধিক শিশু। সিলেট শহরের প্রাণ কেন্দ্র এমসি কলেজ সংলগ্ন বালুচর জোনাকী আবাসিক ঘনবসতি এলাকায় শতাধিক শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায়। এই এলাকার সৈয়দ রশিদ আহমদ এহসান, একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চিন্তা করে  নিজস্ব ভূমি বিদ্যালয়ের জন্য দান করেন। সংশ্লিষ্ট ভূমিতে ১৯৯৯ সালে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন, বিদ্যালয়টি ২০০৩ সাল থেকে শিক্ষাদান ও পাঠ্য কার্যকম চালু করা হয়, এ সময় বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়, ভূমি দাতা সৈয়দ রশিদ আহমদ এহসান কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিদ্যুৎসাহী, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আব্দুল মছব্বির, মেছাঃ মিনারা বেগম, মোঃ হেলাল আহমদ, বদরুদ্দিন বাবুল, ইউপি সদস্য শাহ্ আলম, রাহিমা বেগম কলি, অভিভাবক সদস্য করে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক সহযোগিতায় ২০০৩ সাল থেকে ৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা ২৫০ জন ছাত্র/ছাত্রীর শিক্ষাদান পরিচালনা করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ: আব্দুর রব (এম,এ) প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সি,ইন, এড. সিনিয়র সহ: শিক্ষিকা রাহিমা বেগম কলি, সহ: শিক্ষিকা রাহেলা আক্তার, সহ: শিক্ষিকা সপ্তা রাণী তালুকদার, (এম এল,এস) খোকন আহমদসহ এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে চলছে নিয়মিত পাঠদান কর্মসূচি। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষকদের জন্য সামন্যতম সম্মানী ভাতা আসলেও বর্তমানে কোন ধরনের সম্মানী ভাতা শিক্ষকদের নেই।
এ ব্যাপারে  সৈয়দ আরজুমন্দ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুর রব জানান, সরকারের সচিবালয় সূত্রে জানতে পারি দেশে মোট ১৭৭৪টি বিদ্যালয় একই অবস্থায় রয়েছে। আমাদের বিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্র/ছাত্রীর উপস্থিতির সংখ্যা শতভাগ, বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায় খেলাধূলায়  আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীদের বেশ সুনাম রয়েছে, ২০১২ সালে উপজেলা পর্যায় খেলায় চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন, ২০১৩ সালে ইউনিয়ন পর্যায় চ্যাম্পিয়ন, ২০১৪ সালে বিভাগীয় পর্যায় চ্যাম্পিয়ান ট্রফি অর্জন করে বিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনেন, বিদ্যালয়ের পাঠদান মনোযোগীর মেধা তালিকায় ৯০ জনকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে ২টি ধাপে এ সকল বিদ্যালয়গুলোকে জাতীয়করণ ও গেজেট প্রকাশ করা কথা। এতে সরকারের মন্ত্রণালয় সরকারী নীতিমালা নির্ধারণ করে ২য় ধাপে বিদ্যালয় সমূহের সকল শিক্ষকদের পদ বহাল রাখার জন্য গেজেট প্রকাশ করার কথাও রয়েছে এবং ১ জুলাই ২০১৩ সালে থেকে ২য় ধাপে বেতন দেওয়ার কথা শিক্ষকদেরর বলা হয়েছে। সরকারী নীতিমালা ও শর্তাবলীর ২০০৪/২০১০ এর আলোকে প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষকদের পদ বহাল রাখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।