জয়ের ধারায় ফিরল পাকিস্তান

47

pakistan_win_bg_645441515স্পোর্টস ডেস্ক :
বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় তুলে নিল পাকিস্তান। একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১২৯ রানে হারিয়েছে। বিশ্বমঞ্চে পরপর দুই ম্যাচে হারের পর টানা দুই ম্যাচ জিতে জয়ের ধারায় ফেরা পাকিস্তান ৭ মার্চ নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার আহমেদ শেহজাদ, মিসবাহ উল হক, হারিস সোহেল আর সোয়েব মাকসুদের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তোলে ৩৩৯ রান। ৩৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান তোলে আরব আমিরাত।
ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের হয়ে আহমেদ শেহজাদ আর সোহেল ১৬০ রানের জুটি গড়েন। শেহজাদ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এগারোতম আর সোহেল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নেন। দু’জনই বিশ্বমঞ্চে প্রথমবারের মতো অর্ধশতকের দেখা পান।
৩৩তম ওভারের পঞ্চম বলে ব্যক্তিগত ৭০ রান করে ফেরেন হারিস সোহেল। এরপর ফেরেন পাকিস্তানের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। ব্যক্তিগত ৯৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম শতকের অপেক্ষায় থাকা শেহজাদ। আউট হওয়ার আগে ১০৫ বলে ৮টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান শেহজাদ।
দ্রুতই রান তোলার চেষ্টা করতে গিয়ে বিদায় নেন সোয়েব মাকসুদ। মিসবাহের সঙ্গে ৫৩ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৪৫ রান (৩১ বলে ৪টি চার আর ২টি ছয়) করে ফেরেন মাকসুদ। মিসবাহ ৪৯ বলে ৬৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মিসবাহ আউট হওয়ার আগে ৪টি চারের পাশাপাশি দুটি ছক্কা হাঁকান। শেষ দিকে নেমে মাত্র ৭ বলে একটি চার আর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে আট হাজারি রানের ক্লাবে ঢোকার পাশাপাশি শহিদ আফ্রিদি করেন অপরাজিত ২১ রান।
পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৪০ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আমিরাতের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে আসেন আমজাদ আলী এবং আন্দ্রি বেরেঙ্গার। আর পাকিস্তানের হয়ে বোলিং শুরু করেন মোহাম্মদ ইরফান।
পাকিস্তানের দুই পেস বোলার মোহাম্মদ ইরফান আর সোহেল খানের অসাধারণ বোলিংয়ে আমিরাত প্রথম ৫ ওভার থেকে কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ৬ রান তোলে। তবে, রাহাত আলীর সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে ১৪ রান করা আমজাদ আলী বোল্ড হন।
অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে সোহেল খানের প্রথম শিকারে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে আমিরাতের। উইকেটের পিছনে উমর আকমলের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন ওপেনার আন্দ্রি বেরেঙ্গার। এরপর কৃশনা চন্দ্রকেও শুন্য রানে সাজঘরে ফেরান সোহেল খান। দলীয় ২৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে আমিরাতের।
দলীয় ১০৮ রানের মাথায় আমিরাতের চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটলেও ব্যাটিং ক্রিজে থেকে রানের চাকা ঘোরাচ্ছিলেন আমিরাতের তারকা ব্যাটসম্যান শাইমান আনোয়ার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক তুলে নিয়ে ৩৯তম ওভারের প্রথম বলে আউট হন শাইমান।
শহিদ আফ্রিদির বলে নাসির জামশেদের তালুবন্দি হওয়ার আগে শাইমান ৮৮ বলে চারটি চার আর দুটি ছয়ে করেন ৬২ রান। আফ্রিদির একই ওভারে সাজঘরে ফেরেন রোহান মুস্তফা। আহমেদ শেহজাদের হাতে ধরা পড়েন মুস্তফা।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৫ রানের মাথায় টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেও ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন খুররম খান ও শাইমান আনোয়ার। ৮৩ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন খুররম খান। সোয়েব মাকসুদের বলে ওয়াহাব রিয়াজের তালুবন্দি হওয়ার আগে খুররম খান ৫৪ বলে তিনটি চার আর একটি ছয়ের সাহায্যে করেন ৪৩ রান।
আর শেষ দিকে ৩৩ বলে ৫টি চার আর আর দুটি ছয়ে আমজাদ জাভেদ করেন ৪০ রান। দলীয় শেষ ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের বলে সোহেল খানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। একই ওভারে রিয়াজের বলে বোল্ড হন ৩৬ রান করা স্বপ্নীল পাতিল।