হরতালে বিএনপি-জামায়াতের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খোলা !

42

24-02-15-pic-6স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও ৭২ ঘন্টা হরতালের তৃতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার সিলেটে জীবনযাত্রা স্বাভাবিককের পাশাপাশি অন্যান্য দিনের মতো নগরীতে বিএনপি-জামায়াতের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা দেখো গেছে। এদিকে, কর্মজীবী মানুষেরা এখন নিজ নিজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত। নগরীতে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। রিক্সা, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিক্সার পাশাপাশি ট্রাকও চলাচল করছে পুরোদমে। তবে লোকজন ও গাড়ী চালকদের মধ্যে রয়েছে কিছুটা আতংক।
গতকার মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে নগরবাসীকে যার যার কর্মস্থলের দিকে ছুটতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সংখ্যাও বেড়ে যায়। তবে, সবার মাঝেই অজানা ‘ভয়’ তাড়া করছে। কখন কী ঘটে, এ নিয়েই যা টেনশন! তাছাড়া নগরীর অনেক স্থানে যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে।
বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত হারুন অর রশিদ বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে ভয় পেলে তো আর জীবন চলবে না। চাকরি বাঁচাতে হলে হরতালের মধ্যেই অফিসে যেতে হবে। তাই ভয় লাগুক আর নাই লাগুক কর্মস্থলে যেতে হবেই।’
নয়াসড়ক যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়া ব্যবসায়ী সুমন পাটোয়ারি বলেন, ‘ফুয়া-ফুরিন তর লাগি জীবন’র ঝুঁকি নিয়া ঘর তাকি বার হই। এখন দেশর যা অবস্থা, ঘর তাকি বার হইতে ভয় লাগে। কোন সময় খে পেট্রোল বোমা মারে কওয়া তো যায় না।’ এদিকে বোমাতঙ্ক কাটছে না সিলেটের ব্যবসায়ীদের। তাই সরকারের আশ্বাসেও ভরসা পাচ্ছেন না তারা। হরতালে রীতিমত বন্ধই থাকছে সিলেটের বিপণীবিতানগুলো। তবে কেউ কেউ সামনের ঝাঁপ নামিয়ে শুধু ঢোকার পথটুকু খোলা রাখছেন। জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, নয়াসড়কসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় বিপণীবিতান আধা খোলা। বিএনপি-জামায়াতের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার পাশাপাশি অনেকেই ঝাঁপের একাংশ নামিয়ে রেখে দোকান চালু রেখেছেন।
বন্দরবাজারের প্রসাধন সামগ্রীর দোকানি মোঃ রাহাত বলেন, ‘আর কত দিন এমন চলবে। প্রতিদিন দোকান খুলি, কাস্টমার নাই। এমনে চললে পেটে ভাত জুটবো না।’
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘আমাদের নেতাদের কেউ বলছেন, রাজনৈতিক সংকট আছে। আবার কেউ বলছেন, কোনো সংকটই নেই। কিন্তু বাস্তবে সংকটে রয়েছি আমরাই, সাধারণ জনগণ।’ পাশের আরেক শিক্ষার্থী করিম বলেন, ‘বিবৃতিনির্ভর হরতালের’ কারণে তাদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।TAr
এদিকে, গতকাল বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ অথবা ফোন অনেকেই রিসিভ করেননি।