হরতালে উত্তাপ নেই, জনজীবন স্বাভাবিক

37

স্টাফ রিপোর্টার :
টানা অবরোধের পাশাপাশি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ঘোষিত সপ্তাহের শেষদিনের হরতালে গতকাল বৃহস্পতিবার মানুষের জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। তবে হরতালে কোনো উত্তাপ ছিল না। গতকাল হরতালে নগরীতে তেমন কোনো নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি। সকালের দিকে যান চলাচল একটু কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে দেখা গেছে। নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। যানবাহনের চাপের কারণে নগরীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের।
নগরীর কদমতলী বাসটার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করলেও আন্ত:জেলা এবং দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। তবে সিডিউল বিপর্যয়ের মধ্যেও স্বাভাবিক রয়েছে ট্রেন চলাচল। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট ও মার্কেট। এদিকে,আইন-শৃংখলা বাহিনী কঠোর অবস্থানের কারণে হরতাল কিংবা অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে দেখা যায়নি। ফলে নিরুত্তাপ কর্মসূচি চলেছে বিভাগীয় এই নগরীতে।
অন্যদিকে, নগরী ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল বা পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশের টইল ছিল।
জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানিয়েছেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় পুলিশের টইল জোরদারের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রহমত উল্লাহ জানান, নাশকতা এড়াতে সিলেট নগরজুড়ে পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। ভোর থেকেই নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছেন তারা। এছাড়া মাঠে রয়েছে বিজিবিও।
উল্লেখ্য, পূর্বঘোষিত ৭২ ঘণ্টার হরতাল বুধবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নতুন ঘোষণায় তা আজ শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।