প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প ॥ তরমুজ ও রবিশস্য চাষ করে গোয়াইনঘাটে কৃষকদের ব্যাপক উন্নতি

19

gowainghat photo 11-02-2015গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাটে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের আওতায় তরমুজ ও রবিশস্য চাষ করে অর্ধশত কৃষক স্বাবলম্বী। গ্রামীণ জনগোষ্ঠির উন্নয়ন ও দারিদ্র্যতা বিমোচন‘র লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক উন্নতি ঘটছে। ঘটছে বৈপ্লবিক পরিবর্তনও। হাসি ফুটছে গ্রামঞ্চলের সাধারন কৃষকের মুখে। এসব শস্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলাতে রপ্তানী করা হচ্ছে। আর কৃষক কৃষাণীদের মাঝে বইছে আনন্দ‘র বন্যা।
গতকাল সরজমিন উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়ন‘র কাকুনাখাই গ্রামে গিয়ে স্থানীয় কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, গ্রামের পাশে রউয়া বিল (জলমহাল) এর তীরে প্রায় ৩শত একর পতিতা ভূমি ছিল। এ ভূমিতে অতীতে কখনও কোন ধরনের চাষাবাদ হয়নি। অযতেœ আর অবহেলায় পড়ে ছিল বিলের তীর। এই ভূমিকে কাঝে লাগানোর উদ্যোগে উপজেলার কাকুনাখাই গ্রামের ৪৫জন কৃষক মিলে একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের আওতায় একটি সমিতি গঠন করেন। সমিতির নাম রাখেন কাকুনাখাই গ্রাম উন্নয়ন সমিতি। সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান ও ম্যানেজার মোঃ নুরুদ্দিনসহ সকল সদস্যদের  মাসিক চাঁদা ২শত টাকা করে মূলধন তৈরি করে সমিতির কার্যক্রম চালু করেন। এছাড়া সরকার ঘোষিত একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের আওতায় তারা ঋণ গ্রহণ করে থাকেন। এসব দিয়ে শুরু করেন রবি শস্য চাষ, গাভী পালন ও ক্ষুদ্র ব্যবসা। রবি শস্য‘র মধ্যে রয়েছে ১৫একর তরমুজ চাষ, ৫একর ধনিয়া, ৫একর ফরাস, ৫একর গম, ১০একর সরিষা চাষ।
সমিতির সদস্যদের মাসিক চাঁদা ও  একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্প থেকে নেওয়া ৩লাখ ৮৪ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেন অর্ধশত একর ভুমির উপর রবি শস্য চাষ। এতে প্রতিটি শবজি বাজারজাত শেষে তাদের অর্ধকোটি টাকা আয় হবে বলে জানান সমিতির সদস্যরা। এতে করে সমিতির সকল কৃষক অল্প সময়ে সাবলম্বি হওয়ার  স্বপ্ন দেখছেন। পাশাপাশি এবারের রবি শস্য’র ফসল তুলা শেষ হলেই সমিতির সদস্যরা সাবলম্বি হওয়ার একদাপ এগিয়ে যাবে। সেই সাথে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে যাবে বলে জানান কাকুনাখাই গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান। যা বর্তমান সরকার ঘোষিত দারিদ্র্যতা বিমোচন এর বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটটে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এ প্রতিবেদক কে জানান একটি বাড়ী একটি খামার এখন আর স্বপ্ন নয় এটি একটি বাস্তবতা, প্রকল্পের সদস্যরা সমবায় বিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের লাভ জনক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং তাদের আর্থিক সহায়াতা, নিয়মিত বৈঠক, কারিগরি তদারকি দিতে সরকারী ভাবে সকল সহযোগিতা অব্যাহত আছে। এছাড়া যাবতীয় বিষয়াদি আমি ও আমার প্রকল্প কর্মকর্তা দেখাশোনা করে থাকি। যার ফলে  সাধারণ মানুষের স্বনির্ভরতা হচ্ছে এবং অন্যান্য লোকজনদের মাঝে নিজ চেষ্টায় দারিদ্রতা বিমোচনে স্পীহা তৈরী হচ্ছে।
পাশাপাশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠির উন্নয়ন ও দারিদ্র্যতা বিমোচন‘র লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের আওতার সকল কার্যক্রম আমি নিয়মিত পরিদর্শন করছি। এরই আলোকে মঙ্গলবার সকালে কাকুনাখাই গ্রাম উন্নয়ন সমিতির প্রকল্প  (মাঠ) পরিদর্শন করেছেন বলে জানান তিনি।