কমলগঞ্জে খাদ্য গুদামের চাল খেয়ে ৬টি ছাগলের মৃত্যু, তালাবদ্ধ অফিস

28

শ্রীমঙ্গল থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর খাদ্য গুদামের আনলোড করা চাল খেয়ে আশপাশ এলাকার ৬টি ছাগলের মৃত্যু ও ২টি ছাগল অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে সংবাদ সংগ্রহে খাদ্য গুদাম অফিসে গিয়ে দীর্ঘ এক ঘন্টা অপেক্ষা করেও ২ জন গার্ড থাকলেও তালাবদ্ধ অফিস পাওয়া যায়।
তার আগেরদিন শনিবার গাড়ি থেকে চাল আনলোড করে গুদামে সংরক্ষণের সময় নিচে পরিত্যক্ত চাল খেয়ে অসুস্থ হয়ে এই ছাগল গুলোর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ থেকে শমসেরনগর খাদ্য গুদামে আসা চাল আনলোড করে গুদামে সংরক্ষণের পর নিচে কিছু চাল পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়ে যায়। পরিত্যক্ত এই চাল খেয়ে বিকালে ও রাতে ৬টি ছাগল মারা যায়। শমসেরনগর শিংরাউলী গ্রামের হাছনা বেগম বলেন, গুদামে পড়ে থাকা চাল খেয়ে তার ২টি ছাগল মারা গেছে এবং আরও ২টি বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এছাড়া একই গ্রামের বদরুল মিয়ার ২টি এবং নাম না জানা আরও এক ব্যক্তির ২টি ছাগল মারা গেছে।
হাছনা বেগম আরও বলেন, খাদ্য গুদামে আসা চাল, গম সংরক্ষণের পর বাইরে পরিত্যক্তগুলো সব সময়ই তাদের ছাগল খেয়ে থাকে। কিন্তু শনিবারের চাল খেয়ে ২টি ছাগল মারা যাওয়ায় তিনি আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
রবিবার দুপুরে খাদ্য গুদাম অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিস তালাবদ্ধ। খোঁজাখুঁজি করে ২ জন গার্ডকে পাওয়া গেলেও অফিস বন্ধ রয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, দায়িত্বরত কর্মকর্তা সাকির আহমদ অন্যত্র চলে গেছেন। তাই অফিস খোলা হবে না। দীর্ঘ দেড় ঘন্টা সময় অপেক্ষা করেও অফিস বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলা যায়নি।
এসব অভিযোগ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন বলেন, শনিবার হবিগঞ্জ থেকে শমসেরনগর খাদ্য গুদামে চাল এসেছে। চাল বিনষ্ট না হওয়ার জন্য সাথে ট্যাবলেট থাকে। সম্ভবত সেই ট্যাবলেট খেয়েই ছাগল মারা গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।