গণজাগরণ মঞ্চের জাগরণ যাত্রা ও প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তারা ॥ নাশকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও

22

DSC_0335জাগরণ যাত্রা, সমাবেশ ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সিলেটে পালিত হয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের ২য় বর্ষপূর্তি গণজাগরণ দিবস। রাজনীতির নামে চলমান সন্ত্রাস, নাশকতা ও মানুষ হত্যা রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানে এ বছর ‘গণজাগরণ দিবস’ পালিত হয়। ‘নাশকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানে আয়োজিত নাশকতাবিরোধী সমাবেশ থেকে রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা বন্ধ, পরীক্ষার্থীদের জিম্মি করে হরতালÑঅবরোধ বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
নাশকতাবিরোধী সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে আজ বিভিষিকাময় পরিস্থিতি বিরাজ করছে। রাজনীতি নামে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ দিয়ে ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে অর্থনীতিকে। এসব কর্মকান্ড কখনো একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী হতে পারে না।
বক্তারা বলেন, সরকারও জনগনের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই পুড়ে মরছে মানুষ। লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাই জনগনকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সাধারণ মানুষকে রাসতায় নেমে আসতে হবে। নতুবা এই বিভৎসতা থেকে রেহাই মিলবে না।
বক্তারা বলেন, ১৫ লাখ তরুণের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে এসএসসি পরীক্ষার সময় অন্তত হরতাল-অবরোধ কর্মসূচী প্রত্যাহার করুন। গণতন্ত্রের নামে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে না।
সমাবেশের আগে এর আগে বিকেল সাড়ে ৩ টায় নগরীর চৌহাট্টাস্থ প্রজন্ম চত্বর জাতীয় সঙ্গীতর মাধ্যমে জাগরণ দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। বিকেল ৪ টায় শুরু হয় নাশকতা বিরোধী জাগরণ যাত্রা। নাশকতা বন্ধ, পেট্রোল বোমার রাজনীতি রুখে দাঁড়ানো, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্নের দাবি সম্পন্ন প্ল্যা-কার্ড ও শ্লোগান নিয়ে  প্রজন্ম চত্বর থেকে শুরু হওয়া জাগরণ যাত্রা বন্দরবাজারস্থ হকার পয়েন্ট ঘুরে আবার প্রজন্ম চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশের ফাঁকে ফাঁকে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
গণজাগরণ মঞ্চ, মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মন রানা, পরিবেশ কর্মী আবদুল করিম কীম, আশরাফুল কবির, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম জিলানী শুভ, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক রাজীব রাসেল, একুশ তাপাদার, পাপলু বাঙালি, মারুফ অমিত, রেদোয়ান আহমদ, রোকন উদ্দিন, অদিত প্রমুখ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আরশ আলী, কবি একে শেরাম, নাট্য ব্যক্তিত্ব মুনির হেলাল, নিরঞ্জন দে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবদুল খালিক, সাংবাদিক আল আজাদ, সচেতন নাগরিক কমিটি, সিলেটের আহ্বায়ক ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা, মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান আতা, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি অনুপ কুমার দেব, সহ-সভাপতি খোয়াজ রহিম সবুজ, সাংবাদিক অপূর্ব শর্মা, আবৃত্তিকার মোকাদ্দেস বাবুল, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সুমনা আজিজ, সংস্কৃতিকর্মী উজ্জ্বল রায়, রিপন চৌধুরী, দেবব্রত চৌধুরী লিটন, সুপ্রীয় দেব শান্ত, প্রগতিশীল ছাত্র নেতা প্রণব পাল, রণেন সরকার রনি, শহীদ জগৎজ্যোতি স্মৃতি সংসদের সংগঠক মৃণাল কান্তি দাশ, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আবদুল বাতিন, সামিউল্লাহ স¤্রাট, দেবরাজ চৌধুরী, রাজিত দত্ত, অসীম দাশ, অরুপ দাশ, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, তানভীর চৌধুরী পিয়েল, সৈয়দ রাসেল, বিপ্লব দেব, দ্বোহা চৌধুরী, অভি হাসান, শুভন শুভ, অপু মজুমদার, বিপ্লব বণিক, রুবেল আহমদ কুয়াশা, রোজী আক্তার, বিশ্বপা মৌ, তুলি, কচি, নাট্যকর্মী ধ্র“বজ্যোতি দে, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সপ্তর্ষি দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক দিপঙ্কর দাশগুপ্ত, প্রথম আলো বন্ধুসভা সিলেটের সভাপতি অনামিকা রায় প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি