সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ড. মোমেন চলমান আন্দোলন কোন প্রতিবাদের ভাষা নয় এটা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড

42

23জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের দেশে সন্ত্রাসী মুভমেন্ট (আন্দোলন) কোন গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়। দুনিয়ার কোন দেশ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে ভাল চোখে দেখে না। সন্ত্রাস করে কোন দেশের আন্দোলনে কেউ জয়লাভ করতে পারেনি। বিএনপি জোটের এই সন্ত্রাসী আন্দোলনও কোন দেশ ভাল চোখে দেখছে না।
তিনি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট সার্কিট হাউসে স্থানীয় প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে চলমান আন্দোলনে যে নাশকতা হচ্ছে এটা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। এটা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। তাই চলমান সহিংসতায় বাইরে থেকে সরকারের কোন ধরণের চাপ পড়েনি। তিনি বলেন, এটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন হলে জাতিসংঘও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হতো।
মোমেন বলেন, বিএনপির লোকজন ৬ কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিবৃতি দিয়েছে। যা তাদের জন্য হিতেবিপরীত হয়েছে। এ কারণে দেশবিরোধি অপপ্রচারে কান দিচ্ছে না বিদেশীরা। এতে হিতেবিপরীত হয়েছে। যাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছিলো তারা এখন বাংলাদেশ সরকারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, দেশ ভাল চলছে, তাই আমরাও জাতিসংঘে ভাল অবস্থানে আছি। ২০১৪ সাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ ছিলো। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ১০টি নির্বাচনে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে এবং বিপুলভাবে বিজয়ী হয়েছে। এছাড়া শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশের (পুরুষ ও নারী) অংশগ্রহণ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার ৫শ’ সদস্য কাজ করছে।
ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি মডেল হিসেবে পরিচিত। কোন নেতিবাচক প্রচারণায় দেশের এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারেনি। বাংলাদেশ ভাল করছে, তাই এদেশের শত্র“ও বেড়েছে। যে দেশ ভাল করে তাদের শত্র“ থাকে এটাই স্বাভাবিক। যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছি ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হবে। এক্ষেত্রে আমার কোন সন্দেহ নেই।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের এই স্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, ৭১ এর যুদ্ধকালীন মানবতা বিরোধিদের বিচার নিয়ে কোন দেশ কথা বলেনি। এমনকি অনানুষ্ঠানিকভাবেও এ বিষয়ে জাতিসংঘে কেউ আমাকে জিজ্ঞেসও করেনি। সকলেই এই বিচারের পক্ষে আছে। এটা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। এটা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়।
তিনি বলেন, আমরা সকলেই বাংলাদেশী। আমরা দেশের ভাল চাই। বাংলাদেশের ভাল হলে আমরা সকলেই ভাল থাকবো। এখানে রাজনৈতিক সংকীর্ণতার বিষয় নেই।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সিলেট ব্যুরো প্রধান মকসুদ আহমদ মকসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলার যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, আওয়ামীলীগ নেতা ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিলেট ইউনিটের সেক্রেটারি আব্দুর রহমান জামিল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি