হরতাল চলাকালে বিভিন্ন স্থানে মিছিল, সমাবেশ ও পিকেটিং ॥ ডা. শাহরিয়ার সহ আটককৃতদের মুক্তি দাবী

78

মহানগর বিএনপি ও যুবদল : জেল জুলুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে স্তব্ধ করা যাবে না। বর্তমান বাকশালী আওয়ামীলীগ সরকার সারাদেশকে কারাগারে রূপান্তরিত করেছে। মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কথা বলার অধিকারকে হরণ করতে চায়। তাই এই জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ডাঃ শাহরিয়ার, শামীম মজুমদারসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও আজকের হরতালের সমর্থনে মহানগর বিএনপি ও যুবদলের উদ্যোগে মিছিল পরবর্তী সভায় বক্তারা একথা বলেন।
গতকাল সোমবার নগরীর দরগাহ গেইট এলাকায় ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, শামীম মজুমদার, মোসতাকুর রহমান রুমন, আব্দুস সোবহান, আবু সাঈদ তায়েফ, জুবের আহমদ, সুমন চক্রবর্তীসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও আজকের হরতালের সমর্থনে মহানগর বি,এন,পি ও যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মীরের ময়দান এলাকায় এসে আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বি,এন,পি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, মেট্রোপলিটন থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, মাহবুব চৌধুরী, মুফতি নেহাল উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের আহবায়ক সফররাজ আহমদ, ১নং ওয়ার্ড আহবায়ক রায়হান উদ্দিন মুন্না, আনোয়ার হোসেন মানিক, মামুনুর রহমান মামুন, সোহেল বাছিত, রুহুল কুদ্দুছ চৌধুরী হামজা, আমিনুর রহমান খোকন, মহানগর যুবদল নেতা মনতাজ হোসেন মুন্না, আজিজুর রহমান আজিজ, মোহাম্মদ আলী সোহেল, সোহেল আহমদ,  হোসেন আহমদ রুহুল, শরিফ উদ্দিন মেহেদী, সালাউদ্দিন, শাহীন আলী, আলী হায়দার, রুহেল আহমদ, আব্দুল খালেদ, ছাত্রদল নেতা মামুনুর রশিদ মামুন, কাওছার হোসেন রকি, হোসেন খান ইমাদ, রুমেল আহমদ, মরতুজা আহমদ, সালমান, নাহিদ, জাছিম প্রমুখ।
ড্যাব সিলেট শাখা : ড্যাব সিলেট শাখার সভাপতি, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবী করেছেন ড্যাব সিলেট শাখার নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে ড্যাবের সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা: মো ঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রীক আন্দোলন ঠেকাতে সরকার অবৈধ ভাবে ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করে সরকার পতনের আন্দোলন ঠেকাতে পারবে না। সরকার পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক নেতা ডা: শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেফতার করে রাজনৈতিক হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছে। সরকার পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে চায়। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীরকে অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানান। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এনডিপি সিলেট জেলা ও মহানগর : সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক, ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ডা. শাহরিয়ার হুসেন চৌধুরীকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেট জেলা ও মহানগর ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি’র) নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দরা হচ্ছেন সিলেট জেলা এনডিপি’র সভাপতি আব্দুল মুকিত লেবু, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, এনডিপি’র মহানগর সভাপতি মুহা. জসিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল গফুর, অর্থ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম নাহিদ, অর্থ সম্পাদক খিজির আহমদ, প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান, আব্দুল কাদির, শাহীন আহমদ জামিল, সিলেট মিয়া, মারুফ, কাইয়ুম, আজির উদ্দীন, আমান, হাবিব, খলিল, আরমান, জামাল, জসিম, সামাদ, লিচু, লেবু, সমর।
গোলাপগঞ্জে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল : হরতালে গোলাপগঞ্জ উপজেলা সদরে সকাল হতে বিএনপি,  যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১১টায় হরতালের সমর্থনে উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় এবং মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি নছিরুল হক শাহীন চেয়ারম্যান। উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জিলাল উদ্দিন আহমদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম ময়ূর, পৌর বিএনপি’র সভাপতি মশিকুর রহমান মহি, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব রাজু আহমদ তালুকদার, পৌর বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল সভাপতি কাউন্সিলর হেলালুজ্জামান হেলাল, উপজেলা বিএনপি নেতা হাছান মাহমুদ বাবু, ফয়সল আহমদ, নুরুল আমীন লিলন মিয়া, আব্দুল মালিক লাল মিয়া, রুহেল আহমদ, আব্দুল কাদির সেলিম, জুয়েল আহমদ, পৌর বিএনপি’র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম আহমদ, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আমিন উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, সহ- সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, সেবুল আহমদ, সোলেমান আলী মেম্বার, রাজু আহমদ মেম্বার, পৌর যুবদলের আহবায়ক দুলাল আহমদ, যুগ্ম-আহবায়ক এনামুল হক এনাম, তমজিদ আলী, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এস.এ রিপন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুফিয়ান আহমদ খান, উপজেলা জাসাস সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আফজাল রিপন প্রমুখ।
২৬নং ওয়ার্ড বিএনপি : হরতালের সর্মথনে ও সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীর মুক্তি ও তার উপর থেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে  গতকাল সোমবার ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আক্তার রশীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কদমতলী পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আলাউর রহমান লয়লুর সভাপতিত্বে ও ছাত্রদল নেতা লাভলুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আব্দুস ছাত্তার মামুন, মহানগর বিএনপি নেতা উজ্জ্বল রঞ্জন চন্দ, শওকত আহমদ, বাবলু আহমদ, ছাবের আহমদ, এপলু আহমদ, সপু আহমদ, রায়হান আহমদ, রবিন আহমদ, সজিব আহমদ, শাহাবুদ্দিন আহমদ, সাদ্দাম, সুরমান, জাওয়াদ প্রমুখ।
দক্ষিণ সুরমায় বিএনপি : সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সরমা এলাকায় সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি, সভাপতি হাজী সাহাবউদ্দিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো: বজলুর রহমান ফয়েজ -নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর দক্ষিণ সুরমা হুমাযুন রশিদ চত্বর থেকে শুরু করে মুক্তিয়োদ্ধা চত্বর গিয়ে  শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল লতিব খান, মো: আব্দুর রহিম, সামসুর রহমান সামীম, সাহেদুর ইসলাম বাচ্চু, সামসুল ইসলাম, আজির উদ্দিন, মোতায়ের আহমদ, মুক্তিাদির খান, শাহজাহান মিয়া, সুহেল আহমদ, ছাত্রদল নেতা ফখরুল ইসলাম রুমেল, ওলীউর রহমান, জুবায়ের আহমদ লিলু, মিজান আহমদ, সজিব আহমদ, হুমাযুন আহমদ রশিদ, খালেদুর রহমান সনি, ফজলে রাব্বি, জাকির হোসেন, সজিব আহমদ, হুমাযুই রশিদ, জাহাজান আহমদ, আনোয়ার হোসেন, হুসাই আহমদ, মেহেদি হাসান ও শাহাজান আহমদ প্রমুখ।
এস এম রাজু জৈন্তাপুর থেকে জানিয়েছেন : হরতাল শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলা ২০দলীয় জোটের উদ্যোগে গতকাল সোমবার সকাল থেকে উপজেলা সদরে বিভিন্ন ওর্য়াড ও ইউনিয়ন থেকে হরতাল সমর্থনকারী মিছিল ও পথসভা করে  উপজেলা সদরে এসে মিলিত হয়। হরতাল চলাকালে দূরপাল্লার কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ’র নেতৃত্বে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরে শান্তিপূর্ণ ভাবে হরতালে কর্মসূচি পালন করা হয়। জৈন্তাপুরে হরতালে কোন ধরনের নাশকতামূলক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। হরিপুরে ২০ দলের ডাকা হরতালের নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ। দরবস্ত বাজার হরতালে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনায়েত উল্ল্যাহ জামায়াতের সেক্রেটারী আনোয়ারুল আম্বিয়া, শিবিরের সেক্রেটারী গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস শুকুর, যুবদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দিলূ, নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইনতাজ আলী, আব্দুল আহাদ, হেলাল আহমদ, আব্দুশ শুকুর, জালাল আহমদ, দেলোয়ার আহমদ, জয়নাল আবেদীন, সরওয়ার, আব্দুল হাসিম, আমিনুল ইসলাম সুহেল
মহানগর বিএনপি : ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, শামীম মজুমদার, মোসতাকুর রহমান রুমন, আব্দুস সোবহান, আবু সাঈদ তায়েফ, জুবের আহমদ, সুমন চক্রবর্তীসহ নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও হরতালের সমর্থনে মহানগর বি,এন,পি ও যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, মেট্রোপলিটন থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, মাহবুব চৌধুরী, মুফতি নেহাল উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের আহবায়ক সফররাজ আহমদ, ১নং ওয়ার্ড আহবায়ক রায়হান উদ্দিন মুন্না, আনোয়ার হোসেন মানিক, মামুনুর রহমান মামুন, সোহেল বাছিত, রুহুল কুদ্দুছ চৌধুরী হামজা, আমিনুর রহমান খোকন, মহানগর যুবদল নেতা মনতাজ হোসেন মুন্না, আজিজুর রহমান আজিজ, মোহাম্মদ আলী সোহেল, সোহেল আহমদ, হোসেন আহমদ রুহুল, শরিফ উদ্দিন মেহেদী, সালাউদ্দিন, শাহীন আলী, আলী হায়দার, রুহেল আহমদ, আব্দুল খালেদ, ছাত্রদল নেতা মামুনুর রশিদ মামুন, কাওছার হোসেন রকি, হোসেন খান ইমাদ, রুমেল আহমদ, মরতুজা আহমদ, সালমান, নাহিদ, জাছিম প্রমুখ।
জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন : জগন্নাথপুরে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। গতকাল সোমবার ২০ দলীয় জোটের ডাকে সারা দেশের ন্যায় জগন্নাথপুরে হরতাল পালিত হয়। হরতালের কারণে জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কে কোন দুরপাল্লার যানবাহন চলাচল করেনি। যানবাহন চলাচল না করায় যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। অফিসপাড়া ও দোকানপাট নিয়মিত খোলা থাকলেও জনসাধারণের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। তবে হরতালের সমর্থনে বিএনপির একটি মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
জানা গেছে, সকালের দিকে পৌর শহরের সি/এ মার্কেট এলাকায় হরতালের সমর্থনে পৌর বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হতে চাইলে পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল মতিন, বিএনপি নেতা হাজী হারুনুজ্জামান, শাহ মাহফুজুল করিম, শামসুল হক সমসু, মুহিবুর রহমান শিশু, ফারুক আহমদ, জালাল আহমদ প্রমুখ।
কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন : হরতাল কানাইঘাটে ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে। হরতালের আগের রাত কানাইঘাট থানা পুলিশ বিএনপির নেতাদের বাসা ও বাড়িতে তল্লাশি করে। পৌর বিএনপির সভাপতি কাউন্সিলর শরিফুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের বাড়িতে গভীর রাতে তল্লাশি করে পুলিশ তাদের কাউকে আটক না পারলেও ছাত্রদল নেতা আর.কে বাবলু (২৫)কে তার পৌরশহরস্থ বাসা থেকে রবিবার গভীর রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়েছে। যার কারনে গ্রেফতার আতংকে ভোগছেন বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা। এদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মারমুখী আচরণ ও কঠোর তৎপরতার কারণে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন এবং জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে রাজপথে স্বাভাবিকভাবে দাঁড়াতে পারেনি। তবে হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল ও বিচ্ছিন্ন ভাবে পিকেটিং করে তারা। সকাল ১১টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা কানাইঘাট পৌর শহরে হরতালের সমর্থনে মিছিলের প্রস্তুতি নিলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে মিছিল করতে বারন করে। এক পর্যায়ে পূর্ব বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে হরতালের সমর্থনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হোসেন বুলবুল, বিএনপি নেতা কামাল আহমদ, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুবদল নেতা সেলিম আহমদ, তাজ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন ওয়াসিম, ছাত্রদল নেতা আমিনুল ইসলাম, বদরুল ইসলাম, আজমল হোসেন, তাজরিন আহমদ রিয়াজ, আবুল বাশার, তারেক, রেজা, তাকবির, আবু হেনা, কিবরিয়া, জাকারিয়া, মাসুম, কামরুল, কুনু, কলিম, শাহাদত প্রমুখ। এছাড়া হরতালের সমর্থনে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা পৌর শহরে নন্দিরাই, গাছবাড়ী বাজার, বুরহান উদ্দিন বাজার, রাজাগঞ্জ বাজারে বিক্ষিপ্ত ভাবে মিছিল ও পিকেটিং করে। হরতাল চলাকালে অফিস পাড়া, ব্যাংক-বীমা, পৌর শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও হালকা যানবাহন চলাচল করেছে। এ ব্যাপারে থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কানাইঘাটে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশি তৎপরতার কারণে হরতালকারীরা কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে নি।
সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন : সুনামগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। হরতালের সমর্থনে শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও সড়কে পিকেটিং করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল সোমবার সকালে জেলা বিএনপির আহবায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও জেলা জামায়াতের আমীর তোফায়েল আহমদ খানের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ট্রাফিক পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ওয়াকিফুর রহমান গিলমান, নাদের আহমদ, আবুল মুনসুর মোহাম্মদ শওকত, রেজাউল জক, নুর হুসেন, শেরগুল আহমদ, এডভোকেট হুমায়ুন কবীর, সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট কামাল হোসেন, জেলা যুবদল নেতা সোনা মিয়া, মমিন মিয়া, মুহিত, লতিফ প্রমুখ।
বক্তারা এ সময় হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিএনপির স্থাযী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আবুল মনসুর মো. শওকত, সোনা মিয়া, মুহিত, মমিন মিয়া, থানা যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, হোসেন আমীর, মতিন, আব্দুল লতিফ, আব্বাস উদ্দিন,নবীনূর, ঝন্টু, নূর ইসলাম, বাবলু, ফয়েজ, আনোয়ার মিয়া, শিরিন মেম্বার, রিন্টু দাস, শাহজাহান মিয়া, শাহিন মিয়া, আম্বর আলী প্রমুখ।
এ ছাড়া জেলার ১১টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। হরতাল চলাকালে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোন যানবাহন চলাচল করেনি। অফিস-আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ শহরের মোতায়েন করা হয়েছে।
২৭টি ওয়ার্ড বিএনপি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সিলেট মহানগর শাখার অন্তর্গত ২৭টি ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের স্বৈরাচারী নির্যাতন নিপীড়ন ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান অবৈধ আওয়ামী সরকারের হিংস্র মনোভাব দেশকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশব্যাপী বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর চলছে চরম নির্যাতন সেই নির্যাতন থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না দেশের সাধারণ জনগণ। আমাদের সবাইকে বর্তমান ফ্যাসিস্ট অবৈধ আওয়ামী সরকারের সকল ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যবন্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল সোমবার ২০ দলীয় জোটের ডাকে দেশব্যাপী সকাল সন্ধ্যা হরতাল চলাকালের সিলেট কোর্ট পয়েন্টে সিলেট আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারা দাঁড়িয়ে বক্তব্যে সূত্রে ধরে বলতে চাই, আওয়ামী নেতারা র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবিসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় দাঁড়িয়ে বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ করেন মাঠে দাঁড়ানোর ব্যাপারে। আমরা ২৭টি ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি আগামী ৫ জানুয়ারী সারাদেশের নিয়া সিলেটের পাড়া মহল্লা সহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বিএনপির ততা ২০ দলী জোটের দখলে থাকবে। আর আমরা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের সম্মান রেখে বলতে চাই ৫ জানুয়ারী আগে যে কোন সময় আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ছাড়া মাঠ দখলের আন্দোলন সংগ্রাম মোকাবেলা করতে বিএনপির প্রস্তুত রয়েছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সংগ্রাম আহবায়ক ডঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে সিলেট নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে অবৈধ আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলা হবে। নেতৃবৃন্দ ডঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী মুক্তির দাবিতে সিলেট বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোট ঘোষিত আজ মঙ্গলবার অর্ধ দিবস হরতাল পালনের জন্য সিলেটবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।
বিবৃতিদাতা গণ হলেন ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক মুফতি রায়হান উদ্দিন মুন্না, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট বদরুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সফরাজ আহমদ চৌধুরী, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক এবিএম ছাদেক জুনেদ, ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক হাজী মোঃ ইসরাইল মিয়া, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আবু নসর বকুল, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক জিয়াউল হক জিয়া, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ আব্দুল হাদী মাছুম, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আমির হোসন, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কাউন্সিল এডভোকে সালেহ আহমদ, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আলাউদ্দিন বাদশা, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সাব্বির আহমদ বাচ্চু, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আব্দুল মুমিন, ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক ফয়েজ আহমদ দৌলত, ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক জিয়াউল গণি আরিফিন জিল্লুর, ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক বাবুল ইঞ্জিনিয়ার, ১৮নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আতাউর রহমান আতা, ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট আক্তার হোসেন খান, ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সুদীপ রঞ্জন বাপ্পী, ২১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন, ২২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক ইমরান হোসেন চৌধুরী, ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সফিক আহমদ, ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ বাবুল হোসেন, ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রানা, ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সত্তার মামুন, ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আলাউর রহমান লয়লু।
শমসের মুবিন চৌধুরী (বীর বিক্রম) : বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপার্সন‘র পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা শমসের মুবিন চৌধুরী (বীর বিক্রম) এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য বিলুপ্ত সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি এম এ হক এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বিএনপির ঘোষিত একদিনের দেশব্যাপী হরতালের অবৈধ আওয়ামী সরকার দেশবাসীর কাছে বিপাকে পড়ে গিয়ে গ্রেফতারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীসহ দেশব্যাপী বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আগামী ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্র‘র জন্য কাল দিবস উপলক্ষে বিএনপির নানা মুখী কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছে সে ভয়ে সরকার বিএনপিকে সভা সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। একটি গণতান্ত্রিক দেশে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে আওয়ামী জোর পূর্বক ভাবে ক্ষমতা আখড়ে ধরে রাখতে চায়। সেই স্বপ্ন তাদের দূরস্বপ্ন পরিণত হবে আগামী ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্র‘র জন্য কাল দিবস উপলক্ষে দেশব্যাপী সাধারণ জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে এবং সেই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদের মাটিতে পুনরায় গণতন্ত প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। নেতৃবৃন্দ বলেন অবিলম্বে ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী সহ দেশব্যাপী গ্রেফতার কৃত সকল নেতা কর্মীদের মুক্তি দিন এবং গণতান্ত্রিক সকল কর্মসূচিতে বাধা প্রদান বন্ধ করুণ। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি ঘোষিত হবে।
বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন : হরতালে বিশ্বনাথে শান্তিপূর্র্ণভাবে পালিত হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে হরতাল চলাকালে সহযোগী সংগঠনসহ উপজেলা বিএনপির নেতারা এক মৌন মিছিল বের করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া চেয়ারম্যান, যুগ্ম-সম্পাদক আবদুল হাই ও বশির আহমদ। এদিকে বেলা ২টায় উপজেলা ছাত্রলীগ নেতারা মোটর শোভাযাত্রাসহ হরতাল বিরোধী মিছিল বের করেন। মিছিরটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় বাসিয়া ব্রিজে গিয়ে শেষ হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম জয়ের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহবায়ক আবদুল মালিক সুমনের পরিচালনায় মিছিল পরবর্তি সভায় বক্তব্য রাখেন আ’লীগ নেতা মাহবুর রহমান লিলু, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান সেলিম, হাজী শামছুল ইসলাম, বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শীতল বৈদ্য।
মহানগরী শিবির : বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরীর সভাপতি মু. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন- ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়েরকে গত রবিবার সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে তাকে পরপর তিনবার গ্রেফতার করা হল। সরকার তাদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দকে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করছে। কিন্তু এভাবে ক্ষমতায় তারা টিকে থাকতে পারবে না। জনতার রোষানলে পড়ে তাদেরেকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে।
তিনি গতকাল সোমবার সকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেট মহানগরীর উদ্যোগে এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এর মুক্তির দাবী ও ২০ দলীয় জোটের আহবানে আহূত হরতালের সমর্থনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
সিলেট মহানগরী সেক্রেটারী মাসুক আহমদের পরিচালনায় আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আজিজ, অর্থ সম্পাদক সুহেল আহমদ, স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক শামসুর রহমান জাবাল, আইন সম্পাদক রাশেদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক সালেহ মো. ফয়সাল, মদন মোহন কলেজ সভাপতি পরাভেজ আহমদ, ছাত্রনেতা আব্দুল হাকিম, সুলতান আহমদ, সুজন মিয়া রেজাউল করিম প্রমুখ।
১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি : সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার সিলেট অর্ধদিবস হরতাল সফলের লক্ষ্যে নগরীর ১৮ ও ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে গতকাল এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
১৯নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিনের সভাপতিত্বে ও মহানগর ছাত্রদল নেতা এনামুল ইসলাম ফখরুল এর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক সিটি কমিশনার হুমায়ুন কবির শাহীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য মাহবুব চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ মামুন, কয়েস আহমদ, রুবেল ইসলাম, নির্ঝর রায়, সাঈদ হোসেন, মিছলু আহমদ রাজ, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান সোহান, আব্দুস সালাম জনি, হাসানুল ইসলাম অপ্পি, রুবেল আহমদ সানী, উমেদুর রহমান উমেদ, ফরহাদ আহমদ হৃদয়, মিজানুর রহমান মিজান, এমদাদুল আহমদ রাহাত, রাজন আহমদ, ফয়সল আহমদ সবুজ, ইমরান হোসেন, আলো সরকার প্রমুখ।
এম এম ইলিয়াছ আলী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকে জানিয়েছেন : দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পিকেটিং এ দফায় দফায় পুলিশের ধাওয়া, রাতে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলার পাগলা বাজারে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতা কর্মীরা পিকেটিং করলে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ নেতা কর্মীদের ধাওয়া করে। দফায় দফায় পুলিশ ধাওয়া করলে নেতা কর্মীরা চত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে বিকাল ৩টায় উপজেলার পাগলা বাজের উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির উদ্যোগে নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলার পাগলা বাজারের প্রধান প্রধান রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতা রওশন খান সাগর, আসাদুজ্জামান আসাদ, আব্দুল মজিদ, আওলাদ হোসেন, সলিব নুর বাচ্চু, সাব্বির, খলিল, শাহ জামান, মুজিব, শফিকুল, তফজ্জুল হোসেন কিবরিয়া, আরাফাত আলী, নুর উদ্দিন, আবদাল মেম্বার, আবুল কাশেম সহ প্রমূখ।
এদিকে পুলিশ এসল্ট মামলায় রবিবার রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমদের ঘনিষ্ঠ অত্মীয় উপজেলা বিএনপি নেতা মইনুল ইসলাম ময়না মিয়া’কে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করেন।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল-আমিন গ্রেফতারে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ এসল্ট মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন সোমবার বিএনপির পিকেটিং এ পুলিশ টহলে পাগলা বাজারে গেলে বিএনপির অধীকাংশ নেতা কর্মীরা পুলিশ এসল্ট মামলার আসামী থাকায় পুলিশ দেখে নেতা কর্মীরা পালিয়ে যান।
জেলা ও মহানগর ছাত্রদল : হরতাল কর্মসূচি পালনকালে আওয়ামী তাঁবেদারি প্রশাসন বিনা উস্কানিতে জেলা ছাত্রদল নেতা জুবের আহমদ, গোয়াইনঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, কানাইঘাট পৌর ছাত্রদল নেতা রুহুল আমীন বাবলু, জকিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল নেতা আমীন চৌধুরী, বিয়ানীবাজার পৌর ছাত্রদল নেতা লিমন আহমদ, কলেজ ছাত্রদল নেতা ওলিউর রহমান ওলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সিলেট জেলা ও মহানগর আজ্ঞাবহ প্রশাসনের এই অগণতান্ত্রিক আচরনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি । আমরা দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই, মামলা, হামলা, গ্রেফতার, নির্যাতন করে দখলদার সরকার নিজেদের অবৈধ শাসন প্রলম্বিত করতে পারবেন না। অবিলম্বে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন অন্যথায় ছাত্রদল সিলেট জেলায় গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মুক্তি ত্বরান্বিত করতে বাধ্য হবে।
বিবৃতি দাতারা হলেন, সিলেট মহানগর ছাত্রদল সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ, সাধারন সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না ও মহানগর ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ লোকমান।