কাজিরবাজার ডেস্ক :
দল-মত না দেখে অপরাধীদের অপরাধী হিসেবেই ধরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অপরাধী যে দলেরই হোক- তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে বসে রংপুর ও বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার এবং বরগুনা ও লালমনিরহাটের জেলাপ্রশাসকের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এই নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি বলেন, যেভাবেই হোক, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে।
এ জন্য তৃণমূল প্রশাসনকে মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে। গত মাসে রংপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতা খুন হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেভাবেই হোক উন্নয়ন করতে হবে। যারাই সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও মাদক চোরাচালানে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষ স্বস্তিতে জীবনযাপন করবে এটাই আমরা চাই। রংপুরের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ওই ঘটনায় মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলমকেও আসামি করা হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অপরাধী কে, কোন দলের তা জানতে চাই না। অপরাধ করলে ধরতে হবে। যে অপরাধী তাকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। কারো দিকে মুখ চেয়ে না।
স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করারও নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, যে অপরাধী সে কোন দলের তা না দেখে তাকে ধরতে হবে। জানিয়ে দেবেন এটা আমার নির্দেশ। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে কোনোভাবেই সহ্য করবে না। তিনি বলেন, ক্ষমতায় এলে কিছু লোক জুটে যায়, তারা আসেই অপরাধ করতে। অপরাধ করে তারা আর দায় আসে সরকারের ওপর। তাই কারো মুখ চেয়ে নয়, যে দলের লোকই অপরাধ করুক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যে কোনো মূল্যে দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে সরাসরি কথা বলে স্থানীয় পর্যায়ের সমস্যাগুলো জানতে এবং তাৎক্ষণিক নির্দেশনা দিতে গত নভেম্বর থেকে মাসে দুইবার এভাবে ভিডিও কনফরেন্স করছেন প্রধানমন্ত্রী। ২৪ নভেম্বর মৌলভীবাজার জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সাথে ভিডিও কনফারেন্সের পর তিনি বলেন, আজ শুরু করলাম, এরপর অন্যান্য বিষয় নিয়ে সবাই সব সময় তৈরি থাকবেন। আপনারা কে কি কাজ করছেন, সব ডাটা নিয়ে রেডি থাকবেন। যে কোনো সময় বসব, কথা বলবো এবং জিজ্ঞাস করবোÑ যার যার স্ব স্ব এলাকায় কি কি কাজ হচ্ছে।
