গোলাপগঞ্জে বিএনপির সম্মেলনে তিনটি পদে ৮ জন প্রার্থী

34

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দীর্ঘ দিন পর গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির পালে হাওয়া লেগেছে। দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে নেতা কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন পর হলেও সম্মেলন অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ায় এ উপজেলায় বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি পাবে এমনটা আশা করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। দ্বি-বার্ষিক এ সম্মেলন আজ (রবিবার) উপজেলা সদরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলন সফল করতে উপজেলা আহবায়ক কমিটি জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে উপজেলা আহবায়ক নজরুল ইসলাম ময়ূর মিয়া সাংবাদিকদের জানান।
এদিকে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি থেকে ৩জন করে কাউন্সিলর নিয়ে মোট ৩৩জন কাউন্সিলর তাদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সাম্পদক পদে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। ইতিমধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে ২জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন সভাপতি পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক আহবায়ক মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এক সময়ের তুড়–খ ছাত্রনেতা নছিরুল হক শাহিন, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন পদে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিলাল উদ্দিন, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান উদ্দিন মুরাদ, আমুড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আবহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব রাজু আহমদ তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, আশফাক আহমদ চৌধুরী, ফয়ছল আহমদ।
১৯৭৮ সালে নজরুল ইসলাম ময়ূর মিয়া প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক হিসাবে এ উপজেলায় বিএনপির কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে প্রথম নির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব পান সভাপতি পদে ডাঃ নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে ডাঃ আব্দুল গফুর। পরে পর্যায়ক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যথাক্রমে আলহাজ্ব ময়না মিয়া ও মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির ও ইউপি চেয়ারম্যান মিছবাহুল কাদির ফাহিম, ইউপি চেয়াম্যান আলহাজ্ব মুহিবুর রহমান ও জিলাল উদ্দিন দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলের জন্য ইতিমধ্যে ৩টি আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির, মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস ও নজরুল ইসলাম ময়ূর মিয়াকে পৃথক ৩টি কমিটির আহবায়ক করা হয়। কিন্তু সাংগঠনিক অনুকূল অবস্থান না থাকায় আব্দুল মছব্বির ও মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিসকে আহবায়ক করে গঠিত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক নজরুল ইসলাম ময়ূর মিয়াকে ১৭ জুলাই আহবায়ক করে ২১সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে গঠিত ওই আহবায়ক কমিটি ইতিমধ্যে উপজেলার ৯৯টি ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি ও ১১টি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়। সফল ও সুন্দরভাবে উপজেলা কমিটিও গঠন করা সম্ভব হবে বলে উপজেলা আহবায়ক নজরুল ইসলাম ময়ূর মিয়া সাংবাদিকদের জানান। সম্মেলনে জেলা বিএনপির নেতৃবন্দ আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বলেও তিনি জানান। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা যায়।