জৈন্তাপুরে গ্যাস বিস্ফোরণ ! অল্পের জন্য রক্ষা পেল কয়েকটি পরিবার

55

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুর উপজেলায় পল্লীতে টিউবওয়েল খনন করতে গিয়ে প্রচন্ড বেগে গ্যাস উদগীরণ হওয়ায় জনমনে আতংক দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী মাটি চাপা দিয়ে কয়েক ঘন্টা চেষ্টা করে গ্যাস উদগীরণ বন্ধ করে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের লামা মহাইল গ্রামের মৃত কমল বিশ্বাসের ছেলে কামাইকা বিশ্বাস(৬৫) এর বাড়ীতে। গ্যাস উদগীরণের খবর পেয়ে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড এর একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এলাকাবাসীর সাথে আলাপ কালে জানা যায়- গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় কামাইকা বিশ্বাস এর বাড়ীতে একটি শ্যালো টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ চলছিল। প্রায় ১৩০ ফুট গভীরে যাওয়ার পর হঠাৎ করে বিকট শব্দে খননকৃত সাতটি পাইপ উপরের দিকে উঠে যায়। এ সময় মাটির নীচ থেকে প্রচন্ড বেগে প্রায় ৬০/৭০ ফুট উঁচুতে গ্যাস উদগীরণ হয়ে আশপাশের গর্ত হতে থাকে। টিউবওয়েল শ্রমিক, বাড়ীর লোকজন ও গ্রামবাসী আতংকিত হয়ে পাথর, ইটের কংক্রিট, বালু ও মাটি দিয়ে কয়েক ঘন্টা চেষ্টা করে গর্তটি মাটি চাপা দিয়ে গ্যাস উদগীরণ বন্ধ করতে সক্ষম হয়। এলাকাবাসী আরও জানায় তাদের লামা মহাইল এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে টিউবওয়েল স্থাপন করতে গেলে প্রায় গ্যাস বের হয়ে পড়ে। তাদের ধারণা তাদের পুরো এলাকায় প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত রয়েছে। তাদের দাবী বিশেষজ্ঞরা এলাকায় পরীক্ষা নিরীক্ষা চালালে প্রাকৃতিক গ্যাসের বড় ধরনের মজুত পাওয়া যাবে। এলাকাবাসী ঘটনাটি স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীনকে অবহিত করলে তারা সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড এর এমডিকে বিষয়টি অবহিত করেন। সংবাদ পেয়ে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড এর জিএম প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট প্রকৌশলী খাজা আহমদ, ডিজিএম মেন্টেইনেন্স আতিকুর রহমান, ডিজিএম প্রকিউরমেন্ট মোজাম্মেল হক খান, ম্যানেজার পরিকল্পনা হেলাল উদ্দিন ও ভূ-তত্ত্ববিদ ড. ফরহাদ উজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এব্যাপারে প্রকৌশলী খাজা আহমেদ জানান- এটা কোন রিজার্ভ গ্যাসের উৎস নয়। এটাকে পকেট গ্যাস বা মাস গ্যাস বলা হয়। বিভিন্ন জায়গায় এরকম গ্যাস থাকতে পারে এবং এর পরিমাণ খুবই সামান্য। কিছু সময়ের মধ্যেই এটা শেষ হয়ে যায় এতে আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই।