জগন্নাথপুরে রাধারমণ উৎসবে জনতার ঢল

18

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাধারমণ উৎসব চলছে। উৎসবে হাজার হাজার জনতার ঢল নেমেছে। রাধারমণের কালজয়ী ধামাইল গান ও লোক সংগীত গেয়ে উৎসব মাতিয়ে তোলেন শিল্পীরা। ৯ অক্টোবর বুধবার রাত থেকে ২ দিনব্যাপী রাধারমণ উৎসব শুরু হয়। প্রতি বছরের মতো এবারো বৈষ্ণব কবি রাধারমণ দত্ত পূরকায়স্থ এর ১০৭ তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে রাধারমণ সমাজ কল্যাণ সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় কেশবপুর বাজার এলাকায় আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং আবু হেনা রনি, সানি আহমদ ও শেখরুল ইসলাম সোহাগের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) শুভাশীষ ধর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র শফিকুল হক, বর্তমান প্যানেল মেয়র সাফরোজ ইসলাম মুন্না, নব-নির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লালন ও নব-নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খানম সাথী।
বক্তব্য রাখেন, রাধারমণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর কাউন্সিলর তাজিবুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর আলাল হোসেন, ডা. মারজান আহমদ, শিক্ষক মোশারফ হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া, মধু মিয়া চৌধুরী প্রমুখ। এ সময় রাধারমণ পরিষদের সভাপতি জিলু মিয়া, সহ-সভাপতি আছকির আলী, যুগ্ম-সম্পাদক রমজান আলী, পরিষদ নেতা টুনু মিয়া, তোতা মিয়া, চুনু মিয়া, রিপন মিয়া, লিটন মিয়া, তৈয়ব আলী, আলমগীর হোসেন সহ কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এতে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। সভায় বৈষ্ণব কবি রাধারমণকে মরোনোত্তর একুশে পদকে সম্মানিত করা, পাঠ্যপুস্তকে রাধারমণের স্মৃতি অর্ন্তভূক্ত করা ও রাধারমণের সম্পত্তি রক্ষা করার দাবি জানান বক্তারা।
সভা শেষে অনুষ্ঠানের শুরুতেই ধামাইল গান হয়। পরে সংগীত পরিবেশন করেন দেশের নামকরা শিল্পী খাদিজা ভান্ডারী, চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ বৃষ্টি তালুকদার বন্যা, শাপলা সরকার, বাউল শিল্পী ছুরত মিয়া, হারুন মিয়া, ফয়সল গণি শাহ ও চম্পা মনি সহ অনেকে। এতে ভ্রমর কইও গিয়া, আমারে আসিবার কথা কইয়া, জলের ঘাটে দেইখা আইলাম কি সুন্দর শ্যামরায়, বন্ধু হরি দয়াময় সহ রাধারমণের কালজয়ী গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় গান গেয়ে উৎসব মাতিয়ে তোলেন শিল্পীরা। এতে হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে উৎসব প্রাঙ্গণ সহ আশপাশ এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে।