নিখোঁজ ব্র্যাক কর্মকর্তা চোখ বাঁধা অবস্থায় চট্টগ্রামে উদ্ধার

25

Rofiqul-Islam-1-150x150স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বাগবাড়ীর ব্র্যাক আঞ্চলিক অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে নিখোঁজ ব্র্যাক কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামকে (৫৫) চোখ বাঁধা অবস্থায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের মুরাদপুরে ব্র্যাকের আঞ্চলিক অফিসে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন সিলেটের ব্র্যাকের কর্মকর্তা বিভাস চন্দ্র তাপাদার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘তার সাথে ওই কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে আলাপ হয়েছে। তাকে সিলেটে নিয়ে আসা হবে। এর বাইরে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।’
রফিকুল ইসলামের বড় ছেলে তৌহিদুর রহমান সাগর জানান, গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তার বাবা তাদেরকে মোবাইল ফোনে জানান-তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর তৌহিদ বিষয়টি ব্র্যাকের পদস্থ কর্মকর্তাদের জানান। খবর পেয়ে ব্র্যাক কর্মকর্তারা তাকে হাটবাজারী থেকে উদ্ধার করে মুরাদপুরস্থ অফিসে নিয়ে আসেন।
বাবার সাথে আলাপচারিতার বরাত দিয়ে সাগর আরো জানান, চারজন লোক রুমাল দিয়ে চোখ বেধে তার বাবাকে মাইক্রোবাসযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে হাটহাজারীতে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যায়। সাগর আরো জানায়, ‘দুষ্কৃতিকারীরা তার বাবার কোন ক্ষতি করেনি। তিনি সুস্থ আছেন, ভাল আছেন।’ খবর পেয়ে তার স্বজনরা চট্টগ্রামে ছুটে গেছেন বলে জানান সাগর।
ব্র্যাকের পার্টনারশীপ স্ট্রেনদেনিং ইউনিটের প্রতিনিধি বিভাস চন্দ্র তাপাদার জানান, উদ্ধারের পর রফিকুলকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার দেখানোর পর তাকে চট্টগ্রামে ব্র্যাক অফিসে বিশ্রামে রাখা হয়েছে।
ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, ‘সিলেটে আনার পর তারা এ বিষয়ে রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। ব্র্যাক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম গত বুধবার দিনভর মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে তিনি বাগবাড়ি কানিশাইল ব্রাক আঞ্চলিক অফিসে ফেরেন। সেখানে ঘণ্টাখানেক কাজ করার পর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে অফিস থেকে বের হন। রাত ৮টা পর্যন্ত বাসায় না ফেরায় তার (রফিকুল) বড় ছেলে মোঃ তৌহিদুর রহমান সাগর অফিসে এসে তার বাবার বাসায় না ফেরার বিষয়টি জানায়। এরপর সম্ভাব্য সকল স্থানে তার সন্ধান চালান স্বজনরা। সন্ধান না মেলায় রাতে তার ছেলে সাগর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি করেন (নম্বর-৬৬৬, তাং-১২.১১.১৪)। এ ঘটনায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ(এসএমপি) এর পক্ষ থেকে ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।