শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরে মাছ লুটের ঘটনার মামলায় ২৩ জনকে কারাগারে

47

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরে ফিসারীর লুটপাট ও মাছের খবার বহনকারী বিভিন্ন ট্রাকগাড়ী থেকে চাঁদা আদায়ের ঘটনার মামলায় ২৩ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। মামলা মূলহোতা ফজর আলী পলাতক রয়েছেন।
গত ১০ নভেম্বর সোমবার দুপরের দিকে মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নিদের্শ দেন।
শ্রীমঙ্গল থানায়  দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, মো: জমিস উদ্দিন শ্রীমঙ্গল হাইল হাওরের আশ-পাশের এলাকায় লীজ ও খরিদ সূত্র মালিক বৃদ্ধিমান  হইয়া জমিতে ফিসারী নির্মাণ করে মাছ চাষ করে আসছিলেন। ফিসারী নির্মাণকালীন সময়ে স্থানীয় হাজীপুর এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফজর আলীর নেতৃত্বে কতিপয় চাঁদাবাজ লোকজন বিভিন্ন মালামাল পরিবহনকারী ট্রাক থেকে ২০/৩০ হাজার টাকা বিভিন্ন রাস্তাঘাট উন্নয়নের নামে আদায় করে আসছিলেন। এভাবে কিছু দিন যেতে না যেতেই ফজর আলী ফিসারীর মালিকের কাছে ৫ লাখ চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা প্রদান না করায়  গত ৭ জুলাই ২০১৪ইং তারিখে দুপুরে দিকে শতাধিক সাধারণ মৎস্যজীবী লোকজন নিয়ে চাষকৃত ফিসারীতে হামলা চালিয়ে ফিসার ঘরবাড়ী ভাংচুর ও ফিসার পার কেটে  ৭ লক্ষ ৮০ হাজার ফিসারীর মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর গত  ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ইং তারিখে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবী ও ফিসারীতে সাত লাখ আশি হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ এনে জসিম মিয়া বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় ফজর আলীকে প্রধান আসামী করে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ শতাধিক ব্যক্তি অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
পরে শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক রমা প্রসাদ চক্রবর্তী মামলাটি সরজমিনে তদন্ত করে সাক্ষী প্রমাণমতে ঘটনার পারিপার্শি¦কতায় ২৪জন আসামীর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের  ৪৪৭/৪৮৫/৩২৩/৩৭৯/৫০৬/৩৪ দন্ডবিধি ধারা মতে  আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মৌলভীবাজার সহকারী পুলিশ সুপার মো: আশরাফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, যেই হোক না কেন অপরাধ করে আইনের চোখ কেউ ফাঁকি দিতে পারবে না। এ ব্যাপারে আমাদের পুলিশ প্রসাশন সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
প্রসঙ্গতগত : ইতিমধ্যে হাইল হাওরের এলাকায় যাতায়াতকারী বিভিন্ন ট্রাক গাড়ীতে চাঁদা আদায়ের ঘটনায় স্থানীয় ও দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও স্থানীয় থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থায় না গ্রহণ করায় অবশেষে দায়েরকৃত ফিসারী মালিকের মামলায় আদালতে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।