গোয়াইনঘাটে মনাফ বাহিনীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময় ॥ ওসি সহ ১৯ পুলিশ সদস্য আহত

61

গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের বীরকুলি গ্রামে শনিবার ভোর রাতে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সাথে মনাফ বাহিনীর সদস্যদের শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। এ ঘটনায় মহিলাসহ ৪ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বীরকুলি গ্রামের আব্দুল মনাফের নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্যরা থুবরী শিলচান গ্র“প জলমহাল অবৈধভাবে দখলের প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল হাই শতাধিক পুলিশ নিয়ে শনিবার ভোর ৪টার দিকে বীরকুলি গ্রামে অভিযান চালান। পুলিশী অভিযানের খবর পেয়ে মনাফ বাহিনী পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় অবস্থার বেগতিক দেখে পুলিশ ৭৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুঁড়ে। অপরদিকে মনাফ বাহিনী পাল্টা গুলি ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে গোয়াইনঘাট থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন, এসআই খায়রুল বাশার, মিজানুর রহমান, জাকির হোসেন, আব্দুল হাদি, এ এস আই রবিউল, দুলালসহ ১৯ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হাই জানান, বীরকুলি গ্রামের আব্দুল মনাফ দীর্ঘদিন থেকে চাঁদাবাজি, খুন, জ্বালাও-পুড়াও, হত্যা, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ একাধিক অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানায় তার উপর চাঁদাবাজি মামলা নং- ১৪/২৬(১০)/০৭, ০৪/১২(০৯)/০৭, ০৮/১০(০৬)/০৭, ১০/২৬(০৫)/০৭, ০৩/০৪(০৯)/১৪, ০৮/০৬(১১)/১৪, খুন- ২১/২৯(০৯)/১৩, হত্যা- ২৫/২৩(০৭)/১৪, জ্বালাও-পুড়াও- ০৩/০২(১১)/১৪, নারী ও শিশু নির্যাতন- ১৫/২২(০৯)/১৪ এছাড়াও সিলেট বিমান বন্দর থানায় খুন মামলা নং- ০৬/০৫(০৪)/১৩, ০৫/০২(১১)/১১ রয়েছে। থুবরী শিলচান গ্র“প জলমহালের বৈধ ইজারাদার মানাউরা প্রভাতী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিঃ-এর সাধারণ সম্পাদক তীর্থ রঞ্জন দাস’র চাঁদাবাজি মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার ভোর ৪ টায় এ অভিযান চালানো হয়। এ ব্যাপারে সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই খায়রুল বাশার বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ১২, তারিখ- ০৮/১১/১৪ইং) চাঁদাবাজ আব্দুল মনাফকে প্রধান আসামী করে এজাহারে শতাধিক আসামীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেনÑ বীরকুলী গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের পুত্র মনির উদ্দিন (৪০), আব্দুস সালামের পুত্র কামাল উদ্দিন (১৬), আব্দুল হকের স্ত্রী নাজমা বেগম (২৮), মনির উদ্দিনের স্ত্রী ছালেহা খাতুন (২৬)। এ ঘটনায় আকটকৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। অপরদিকে আসামী আটকে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।