বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সিলেটে বড়দিন উদযাপন

4

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরীর নয়াসড়কস্থ প্রেসবিটারিয়ান চার্জে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের এ বড়দিন উদযাপিত হয়। এতে সাড়ে তিনশ যিশু ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
খ্রিষ্টান কমিউনিটি সিলেটের উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই নতুন জামাকাপড় পড়ে গির্জাগুলোতে ভিড় করেন খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীরা। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও মেতে উঠে উচ্ছ¡াসে। সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটের প্রেসবিটারিয়ান চার্চে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থনা শেষে গান পরিবেশন করা হয়। এদিকে বড়দিন ঘিরে দিনব্যাপী ছিলো কেক কাটা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেট সম্প্রীতির শহর এই শহরে আমরা একে অপরের উৎসবে সবাই মিলেমিশে এক সঙ্গে পালন করে থাকি, সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।
সিলেট প্রেসবিটারিয়ান চার্চের ফাদার নিঝুম সাংমা বলেন, সিলেট একটি সম্প্রীতির নগরী। শুধু ধর্মীয় সম্প্রীতি নয়, রাজনৈতিকভাবেও সিলেট সম্প্রীতির শহর। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কিছুটা ভয়ে ছিলাম, ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারব কী না। কিন্তু আমরা যথারীতি উৎসব পালন করছি। আমরা আশা করি, সিলেটে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানরা বিগত সময়ে যেভাবে এক সঙ্গে ছিলেন, সবাই যেন আগামীতেও একইভাবে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানে থাকেন।
এদিকে, শুভ বড়দিন উপলক্ষে বুধবার সিলেটে নির্বিঘেœ উদযাপন করতে পুলিশ বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে। গড়ে তোলা হয় নিরাপত্তা বলয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড়দিন উপলক্ষে রঙিন কাগজ, ফুল আর আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো হয় নয়াসড়ক প্রেসবিটরিয়ান গির্জা। গির্জার সামনে বসানো হয় ক্রিসমাস ট্রি। সকালে গির্জায় অনুষ্ঠিত হয় বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা। বিভিন্ন ধর্মের মানুষের উপস্থিতি হয় নয়াসড়ক গির্জা। তাই গির্জাকে ঘিরে নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও সিলেটে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উন্মুক্ত কোনো স্থানে আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।