স্টাফ রিপোর্টার
বিশ্বনাথের হিমিদপুর গ্রামে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর ভ‚সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা চলছে। প্রতারক চক্র কৌশলে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মৃত তাহির আলীর পুত্র কাউসার আলী (আলী কাউসার)।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তার পিতা ১৯৮৬ সালে ৯শ শতক ভ‚মি রেখে মৃত্যুবরণ করেন। এসব ভ‚মির উত্তরাধিকারী তিনি ছাড়াও বড় ভাই মৃত আয়ুব আলী ও বোন দিলারা বেগম। তিনি ও তার বোন ছোট বেলা থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। তার নিজের রোজগারের ২০-২৫ লাখ টাকা দিয়ে দেশে থাকা বড় ভাই আয়ুব আলীকে বিশ্বনাথ ও সিলেটে ২টি ফার্মেসী ব্যবসা খুলে দেন। এর পরও তার বড় ভাই আয়ুব আলী ও ভাবী বিভিন্ন কলা কৌশলে পিতার সম্পত্তি ঘ্রাস করতে থাকেন। এমনকি, পিতার যুক্তরাজ্যের পেনশনের সব টাকা একা ভোগ করেন বড় ভাই। তার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী আছিয়া আয়ুব মিনা ও মেয়ে লিপি বেগম জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে তিনি আদালতে বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় মুরুব্বিয়ান সম্পত্তি বাটোয়ারা করে দিলে মামলা তুলে নেন।
লিখিত বক্তব্যে কাউসার আলী আরো জানান, সম্পত্তি বাটোয়ারা করে চিহিৃত করার পরও বড় ভাইর স্ত্রী ও মেয়ে তার অংশের অধিকাংশ জায়গা প্রতারকের কুপরামর্শে বিক্রি করে দিয়েছে। খবর পেয়ে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসলে তারা তাকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেয়। তার কোন জায়গা সম্পত্তি নেই বলে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় মুরুব্বিয়ানদের জানালে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার আব্দুল মুমিন মামুন, নুর মিয়াসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সমাধানে এগিয়ে আসেন। আছিয়া ও তার মেয়ে লিপি বাড়ির অংশের ভ‚মি ও ফসলি জমি দিতে রাজি হন। কিন্তু বিল্ডিং ও জমি চিহিৃত করতে গেলে লিপির স্বামী আব্দুন নুর ও আছিয়া তাকে গালি গালাজ করেন ও হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় পুলিশসহ গণ্যমান্য লোকজন এসে পূণরায় তাদের কাউাসার আলীর নির্মিত ঘরের অর্ধাংশ ও জমি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন। কিন্ত আছিয়া ও তার মেয়ে লিপি বেগম স্থানীয় ভ‚মি খেকো রফিকুল ইসলাম জুবায়েরের কুপরামর্শে জমি রেজিষ্টারী করে দিচ্ছেন না এবং যে কোন সময় সন্ত্রাসী দিয়ে ভ‚সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ ও খুনের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রফিকুল ইসলাম জুবায়ের এ সম্পত্তির মালিক আমি জানা সত্বেও কৌশলে দলিল ও বাটোয়ারানামা ছাড়াই কিছু জমি ক্রয় করে এবং আমার বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করে। জালিয়াতি করে জমি কেনার ভয়ে রফিকুল ইসলাম জুবায়ের আছিয়াকে দিয়ে তার এবং শালিসকারীগণের বিরুদ্ধে গত ১৯ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুমিনের বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা ও কাল্পনিক বক্তবের প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে জান ও মালের নিরাপত্তায় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সেেহযাগিতা কামনা করেন। ব্রিটিশ হাই কমিশন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিষয়টি অবগত করবেন বলেও জানান।