অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ অভিভাবকের সম্মতিতে হয়ে থাকে : জেলা প্রশাসক

1

তথ্য অফিসের আয়োজনে সিলেটে ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতা ঈড়সসঁহরঃু ঊহমধমবসবহঃ অপঃরারঃরবং ড়হ ঠঅঈ ্ ঊঈগ বিষয়ক জেলা পর্যায়ের পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সভায় বক্তাগণ বাল্য বিবাহ এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের কারণ, প্রতিরোধ ও নির্মূলের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ইউনিসেফের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পরামর্শ সভায় সম্পদ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. নুরের জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন। তিনি তাঁর মূলপ্রবন্ধে নারী ও শিশুর ভবিষ্যতের সুযোগ ও সম্ভাবনা নষ্ট করার ক্ষেত্রে বাল্য বিবাহ, শিশুশ্রম এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকার সারা দেশে কমিটি গঠন করে দিয়েছে। এখন বাল্য বিবাহ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মধ্যে সার্বিক সমন্বয় জরুরি। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র ও জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় প্রত্যেকের কাজ নিয়ে বিশদ ধারণা রাখতে হবে। তাই এমন ব্যবস্থা গড়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে কোনভাবেই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে না পারে।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুশ্রম ও বাল্যবিবাহ অভিভাবকের সম্মতিতে হয়ে থাকে, এতে অনেক শিশু স্কুল থেকে ঝরে যায়, শিক্ষাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়। আর্থিক স্বচ্ছলতা ছাড়া বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া আরো জটিল হয়ে পড়ে। এজন্য সবাইকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহŸান জানানো হয়।
পরামর্শ সভায় উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়, বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা তৈরির জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। শিক্ষার সাথে এ বিষয়গুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত হওয়ায় সভায় শিক্ষার হার বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রয়োজনে বাল্য বিবাহ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৪ ঘন্টা সেবাপ্রদানকারী টোল ফ্রি জাতীয় হেল্পলাইন ১০৯ এবং জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।