আতর-টুপির দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

10

সিন্টু রঞ্জন চন্দ

শেষ সময়ে নগরীতে জমে উঠছে ঈদের বাজার। পাশাপাশি আতর-টুপির দোকানগুলো কেনাকাটার ধুম পড়েছে। তবে দিনের চেয়ে রাতে কেনাকাটা বেশী জমে উঠছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এবার ঈদের বাজারে নানা নামের ও দামের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। বেচাকেনা ভালো হলেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমানোয় তাদের বাজেট কমে এসেছে। তবুও ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, শেষ সময়ে নগরীতে ঈদের কেনাকাটায় পুষিয়ে নিতে পারবেন।
ঈদের শেষ সময়ে সিলেট নগরীতে ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠেছে বিপনী বিতান, মার্কেট থেকে অলিগলি। শেষ সময়ে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ার অন্যতম কারণ পোষাকের দাম নেমে আসা। নগরীতে ঈদের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা নামের পোশাক। চিকেন, কারজালাসহ অনেক মজার নাম রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। এছাড়া নগরীতে টুপির দোকানগুলো নানা কারুকাজ করা ঈদের টুপি কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কেনাকাটা করতে আসা নানা বয়সের মানুষজন। সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত ক্রেতাদের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠছে মহানগরীর শপিং মলগুলো। নিজের পছন্দের পোশাক কেনার পাশাপাশি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পোশাকটাও কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
নারীরা জামা-শাড়ির পাশাপাশি কিনে নিচ্ছেন বাচ্চাদের পোশাক। পুরুষরা ভিড় করছেন পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে। ক্রেতাদের অনেকে জানান, পোষাকের দাম বেশি হওয়ার কারণে কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এদিকে, নগরীর ফুটপাত হকারমুক্ত করায় নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা বন্দরবাজার হাসান মার্কেট, লালদিঘীরপাড় হকার্স মার্কেটে ঈদবাজার করতে দেখা গেছে। মধ্যবিত্তরা নগরীর জিন্দাবাজার বিপনীবিতান ও মার্কেটে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত। তেমনি বিত্তশালীরা নগরীর নয়াসড়ক ও কুমারপাড়ার অভিজাত বিপনী বিতান ও ফ্যাশন হাউস মাহা, আড়ং, সারা, ইয়োলোসহ দামি ব্রান্ডের দোকানে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।
সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন বলেন, সিলেটে এ বছর বিপুলসংখ্যক মানুষ কানাডা গিয়েছেন। বিদেশ যেতে এসব পরিবার বিপুল টাকা খরচ করেছে। যে কারণে ঈদের কেনাকাটায় তাদের বাজেট কম। তিনি জানান, রবিবার থেকে মার্কেটে ক্রেতা সমাগম বেশ ভালই বেড়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। শেষ সময়ের বিকিকিনিতে পুষিয়ে নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।