গোলাপগঞ্জ পৌরসভা উপ-নির্বাচন ॥ আচরণবিধি লংঘন করে মিছিল করায় দুই প্রার্থীকে জরিমানা

60

সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
আসন্ন গোলাপগঞ্জ পৌরসভা উপ-নির্বাচন আগামী (৩ অক্টোবর)। ১৮ সেপ্টেম্বর ৪ মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয় নির্বাচন কমিশন। প্রতীক হাতে পাওয়ার পরই ৪ মেয়র প্রার্থীরা প্রচারণায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন। প্রচারণার শুরু থেকেই মেয়ররাও বিধি অমান্য করে অবৈধ ভাবে বাশি বাজিয়ে সড়ক ও পাড়া মহল্লায় মিছিল, বাজার এলাকায় মাইক নিয়ে একাধিকবার মিটিং করে আচরণ বিধি লংঘন করে আসছিলেন। এ নিয়ে কোন প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি নির্বাচন কমিশনে। তাদের কারো কোন অভিযোগ না থাকায় স্থানীয় নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। গতকাল (২৫ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন নিজ এলাকা থেকে শতশত কর্মীবহর নিয়ে বাশি বাজিয়ে গোলাপগঞ্জ পৌর চৌমুহনীতে পৌছান। চৌমুহনীতে পৌছার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে উপজেলা সহকারী নির্বাহী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ওই প্রার্থীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকের আমিনুল ইসলাম রাবেল তার বিশাল কর্মীবহর নিয়ে একই কায়দায় গণসংযোগে বের হলে তাকেও ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল বিকালে উপজেলা সহকারী নির্বাহী কমিশনার সুমন্ত ব্যানার্জি (ভূমি) তাদের দুইজনকে এ জরিমানা করেন। এ সময় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার বিভিন্ন পুলিশ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি জানতে উপজেলা সহকারী নির্বাহী কমিশনার (ভূমি) সুমন্ত ব্যানার্জি’র সাথে আলাপ করা হলে তিনি জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে মেয়র প্রার্থী রাবেল ও শাহিনের সমর্থকরা বলছেন এর আগে একই কায়দায় আ’লীগের প্রার্থী ও অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী নারিকেল গাছ প্রতীকের মহিউস সুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস প্রচারণা করেছেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। তারা আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে অভিযোগ করছে। দাঁড়িপাতন গ্রামের হোসেন আহমদ (৩২) নামে মেয়র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রাবেলের এক সমর্থক বলেন, তারা আমাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জরিমানা করিয়েছে। তবে মেয়র প্রার্থী শাহিনের এক সমর্থক বলেন,জরিমানা করায় আমাদের ভালই হয়েছে। কারণ অন্য মেয়র প্রার্থীরা আমাদের চোখের সামনে বাশি দিয়ে মিছিল দিতে পারবে না। আমরাও অভিযোগ করব।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমানের সাথে আলাপ করা হলে তিনি দুই প্রার্থীদের জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মেয়র প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর একে অপরের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থী কোন ধরণের অভিযোগ করেননি।