সিন্ডিকেট কোন পদ্ধতিতে ভাঙা যায়, সেই সুযোগ খুঁজতেছি

11

শ্রীমঙ্গলে আওয়ামী লীগের গণসংবর্ধনায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
কৃষি মন্ত্রী উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির ভেতরে একটা সিন্ডিকেট কাজ করে। এই সিন্ডিকেট শুদ্ধভাষায় ব্যবহার হয়। এই সিন্ডিকেট কোন পদ্ধতিতে ভাঙা যায়, সেই সুযোগ খুঁজতেছি। সেটা ঢাকায়ও বলেছি। মজুতদারীদের রোধ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন আর প্রধানমন্ত্রী আমাকে মন্ত্রী বানিয়ে আবার আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। তাহলে বুঝতে হবে যে, আপনাদের দায়িত্ব এবং মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। সেই হিসেবে আসুন সবাই মিলে আমরা এদেশের কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই। আমাদের জিডিপির শতকরা ৮০ ভাগ এই কৃষক থেকে বা কৃষকের জীবিকা থেকে আসে। এই জিডিপির গ্রোথ বৃদ্ধি করতে হলে আমরা আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এখন কোন উপকরণের অভাব নাই। আমি মন্ত্রণালয়ে যে ৪/৫ দিন কাজ করেছি বিভাগীয় সকল কর্মকর্তার সাথে আমার আনুষ্ঠানিক সচিব সাহেবসহ সবার সাথে বৈঠক হয়েছে। এত মেধাবী একেকজন কর্মকর্তা। আমি হাসি হাসি বলছি আপনাদের মেধার কাছে আমার হার মানতে হবে। আপনাদের মেধা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য যে কৃষকরা ফসল ফলায় সেটা যেন শতভাগ ফলিয়ে পণ্য হিসাবে বাজারে বিক্রি করতে পারে, মূল্য যাহাতে সঠিক পেতে পারে তাহলে হবে সকলের সফলতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, অন্যান্য সংগঠন কর্তৃক গণ সংর্বধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব ভেবুলের সভাপতিত্বে গণ সংর্বধনা অুনষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো.ফজলুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ প্রমুখ।
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাকর্মীর উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, আমার মন্ত্রীত্ব পরিচালনায় আপনারাই হবেন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বা চাবিকাঠি। আপনারদের পরামর্শের বাহিরে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উন্নয়নের কর্মকান্ড আগেও করি নাই এবারতো আরও বেশি করে করবো। মন্ত্রণালয়ের রুলস অব বিজনেসে অ্যালোকেশন অব বিজনেসে দায়িত্ব দেয়া আছে এর বাহিরে আমাদের কিছু করার নেই আর ইচ্ছা থাকলেও করতে পারবো না।
শ্রীমঙ্গল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ করেন।
গণসংর্বধনা শেষে মন্ত্রী মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন। সেখানে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নেছার আহমদসহ দলের নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এসময় উপস্থিত মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ডিসি উর্মি বিনতে সালাম, পুলিশ মো.মনজুর রহমান (পিপিএম) বার। কৃষি মন্ত্রী ওইদিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে শ্রীমঙ্গলস্থ ফুলছড়া চা বাগানে শীতার্ত ও অসহায় চা শ্রমিকদের মাঝে কম্বল বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।