হরতালের দ্বিতীয় দিনে সিলেটে গাড়ি ভাঙচুর-ককটেল বিস্ফোরণ

5

স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনের সিলেট নগীর গাড়ি ভাঙচুর এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে নগরীর শাহজালাল উপশহর পয়েন্টে হরতালের সমর্থনে কয়েকটি মোটরসাইকেলে মিছিল বের করে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় একটি ট্রাক ও একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। যদিও পুলিশ বলছে কোনো ধরনের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে তাদের জানা নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার উপশহর পয়েন্টে কয়েকটি মোটরসাইকেলে হেলমেটধারী কয়েক জন যুবক হরতালের সমর্থনে সড়ক অবরোধ করে একটি ট্রাক ও অটোরিকশা (সিএনজি) ভাঙচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, শাহজালাল উপশহর পয়েন্টে দুর্বৃত্তরা পিকেটিংয়ের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
এছাড়া সিলেট নগরী অনেকটা ঢিলেঢালা হরতাল পালিত হয়েছে। সকাল থেকে নগরী যানবাহন চলাচল কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল বেড়েছে। অন্য দিনের মতোই অফিস-আদালত খোলা ছিলো। চাকরিজীবীদের যথাসময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে দেখা গেছে। স্কুল-কলেজও যথারীতি ছিলো খোলা।
সরেজমিন দেখা গেছে, সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, সুরমা মার্কেট পয়েন্ট, দক্ষিণ সুরমাসহ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল করেছে। খোলা ছিলো দোকানপাট ও বিপণি বিতানও। সেই সঙ্গে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সিলেট নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা টহল দিতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকাল থেকে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করলেও সিলেট থেকে আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকায় দূরবর্তী গন্তব্যের লোকজন রেলপথকেই বেছে নেন। সরকার পতনের একদফা দাবি এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে রবিবার ১৯ নভেম্বর শুরু হয় ৪৮ ঘণ্টার হরতাল। হরতালের প্রথম দিনে পিকেটিংয়ের চেষ্টাকালে ছয় জনকে আটক করে পুলিশ।