খাদিমে বনফুলের দুই কর্মী হত্যা মামলায় ৩ জনের ফাঁসি, দুই জনের যাবজ্জীবন

37

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের বিসিক শিল্পনগরীর খাদিমনগর এলাকায় অভিজাত মিষ্টি বিপনী বনফুলের দুই কর্মচারী হত্যার দায়েরকৃত মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদÐ (ফাঁসি) ও ২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে মৃত্যুদÐের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে আরও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদÐাদেশ দেওয়া হয়। রবিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নূরে আলম ভুঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দÐপ্রাপ্তরা হচ্ছেন-সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার ইউনিয়নের নয়াগাঁও চারমাইল মানিক মিয়ার ছেলে নগরীর সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিপন আহমদ, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ কসবা এলাকার মৃত শমসির মিয়ার ছেলে নগরীর বাগবাড়ি নরশিংটিলা এলাকার বাসিন্দা দুলাল মিয়া এবং গোয়াবাড়ি এলাকার ভোলা মিয়ার ছেলে নগরীর কাজলশাহ রমিজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া উজ্জ্বল। এদের মধ্যে শিপন মিয়াকে আরেকটি ধারায় আরও ১০ বছরের সশ্রম কারাদÐ ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদÐাদেশ দেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট জুবায়ের বখত গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজন হলেন-সিলেট নগরীর কানিশাইল এলাকার মাসুক মিয়ার ছেলে ও কাজিরবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল এবং গোলাপগঞ্জের পূর্ব ফুলসাইন্দ বারজানটিলার শফিক উদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমেদ। রায়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদÐ প্রদান করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খাদিমনগর বিসিক শিল্পনগরীর বনফুলের ফ্যাক্টরি থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজু আহমদ (১৯), এস এম তাপু মিয়া (৩৫) ও রাসেল আহমদকে (২৩) কুপিয়ে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা। তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু ও তাপুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের রাজুর বড় ভাই চাঁদপুর হাজিগঞ্জের হারুনুর রশিদের ছেলে মাসুদ পারভেজ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি ৩ তদন্তকারী কর্মকর্তার হাত বদল হয়ে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মামলাটি ওই আদালতে বিচারের জন্য দায়রা ১৮৯ মূলে রেকর্ড করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে রবিবার উক্ত বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।