সুনামগঞ্জের হাওরে হাউসবোট ব্যবসা জমজমাট

21

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের হাওরে পর্যটন ব্যবসা এখন নান্দনিক হাউসবোটের দখলে। এগুলোর বেশিরভাগের মালিক সুনামগঞ্জের বাইরের। সুযোগ-সুবিধার জন্য এসব নৌযানেই ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। অথচ বছর পাঁচেক আগেও দাপট ছিল স্থানীয়দের ছোট নৌকাগুলোর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পর্যটন নীতিমালা না মেনে সুনামগঞ্জের হাওরে অবাধে চলছে ট্যুরিষ্ট এ্যাজেন্সির বিভিন্ন নৌকা ও হাউসবোট। এতে পর্যটক হারাচ্ছে স্থানীয় ছোট নৌকাগুলো। কাঙ্খিত পর্যটক না পাওয়ায় অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এ পেশা থেকে। বর্ষায় হাওরে ২০০ থেকে ২৫০ ছোট নৌকা চললেও বর্তমানে তা নেমে এসেছে একশর নিচে।
প্রশাসনের নীতিমালা অনুযায়ী, হাউসবোট নামানোর আগে স্থানীয় জনগোষ্ঠির আয়ের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এটি মানা হচ্ছে না। হাউসবোটের ভিড়ে হারিয়ে গেছে প্রায় দুই শটি ছোট নৌকা।
স্থানীয় নৌকার মালিকেরা জানান, বাইরের নৌকাগুলা থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না তারা। একেকটি নৌকা-১৮-২০ লাখ টাকার, সেখানে তাঁদের ১ লাখ টাকায় বানানো নৌকার কোনো মূল্য পাচ্ছে না। যে নৌকা দিয়ে আগে ৫০০-৭০০ টাকা আয় করতেন সেখানে তাদের এখন ১৫০-২৫০ টাকাও হচ্ছে না। এখান নৌকার বা বোটের ব্যবসা করছেন ঢাকার লোকজন।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, যে সমস্ত বড় বড় নৌকাগুলো ভ্রমণ করতেছে তাদের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে এমন আইন করা হোক যাতে যার মাধ্যমে স্থানীয়রা লাভবান হন। এটিই আমাদের দাবি।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে আমরা ইঞ্জিন চালিন নৌযানগুলো কোনোভাবে প্রবেশ করতে দেব না। তবে কেউ যদি স্থানীয় নৌকাগুলোতে প্রয়োজনীয় সেফটি নিয়ে যান তাহলে তারা ভ্রমণ করতে পারবেন।