মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শরতের কাশফুল

14

পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে
পর্যটন সমৃদ্ধময় জনপদের নাম মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা। আর এ উপজেলায় ৬টি ঋতুতেই ভিন্ন ভিন্ন রূপে প্রকৃতি সাজে তার আপন মহিমায়। তেমনি একটি ঋতু শরৎকাল। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে অনন্য শরতের বাতাসে দোল খাওয়া কাশফুল কেবলই শুভ্রতা ও মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে ভানুগাছ সড়কের পাশে বেলতলী সংলগ্ন ভুড়ভুড়িয়া ছড়ার পাশে বালুচরের অবস্থান কাশবনের। পাশেই উঁচু-নিচু টিলার মধ্যে চা বাগান। সবুজ চা বাগানের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি ছড়া। ছড়ার দু’পাশেই প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়েছে এই কাশফুলের বালুচর। অপরূপ সাদা কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়ার দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম যা পর্যটকদের আকর্ষণ করছে। প্রতিদিনই প্রকৃতিপ্রেমীদের পদচারণে মুখরিত থাকে কাশবন। আর প্রকৃতিপ্রেমীরা আনন্দে হারিয়ে যাচ্ছেন কাশবনে। কেউ তুলছেন ছবি। কেউবা হাত বুলিয়ে নিচ্ছেন কাশফুলে। শরৎ ঋতুর কথা মনে এলেই আমাদের চোখের কোণে ভেসে উঠে ফুটন্ত সাদা কাশফুল। রাশি রাশি কাশফুল ছড়াচ্ছে শ্বেত শুভ্র নৈসর্গিকতা।
নীল আকাশে সাদা মেঘের আনাগোনা। দিগন্ত জোড়া কাশফুলের মনোরম দৃশ্য মানব মনকে করে তুলছে আন্দোলিত।
বাংলার প্রকৃতি অনন্য। উদ্ভাসিত হয় আপন রুপ লাবণ্যে।