কদমতলী ওভারব্রীজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কাউন্সিলর লিপনের উদ্যোগ গ্রহণ

7

 

দীর্ঘদিন ধরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলী সিলেট জকিগঞ্জ সড়কের ওভারব্রীজ এলাকার যানজট, মোবাইল চুরি, পকেটমারদের উপদ্রব, নকল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের প্রতারণাসহ নানা কারণে বিতর্কিত এ এলাকার সমস্যা সামাধানে এগিয়ে এলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের পরপর ৩ বারের নির্বাচিত সফল কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন।
তিনি এসব সমস্যার মূল কারণ ওভারব্রীজ এলাকার সিঁড়িটি ভেঙে ফেলার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রবিবার রাত ৮ টায় তিনি সিলেট জকিগঞ্জ সড়কের ওভারব্রীজ এলাকার বাসিন্দাদের সাথে ও সিলেট জকিগঞ্জ বাস শ্রমিকদের মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি অনাকাংখিত ঘটনার বিরোধ নিস্পত্তিকালে এ সিদ্ধান্ত জানান।
স্থানীয়রা জানান, গত তিনদিন আগে কদমতলী এলাকার অল্প বয়সী এক কিশোরের সাথে বাস শ্রমিকদের কথা কাটাকাটির জেরে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় দুটি বাসের চালক ও হেলপারসহ ৪জন আহত হন। এ সময় উশৃংঙ্খল যুবকরা একটি বাসের সামনের গøাস ভেঙে ফেলে। সেই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষে বিরোধ নিস্পত্তিসহ বাস শ্রমিকদের কাছে এলাকার স্থানীয় কয়েকজন যুবক ক্ষমা চান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক, কদমতলীর বাসিন্দা সাবেক বিডিআর সদস্য মুরব্বী কবির আলী, মুরব্বী আব্দুল মুমিন আজম আলী, রুস্তুম আলম কুদ্দুস, কদমতলী ওভারব্রীজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ মাসুক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, সমাজসেবী বাবলু হোসেন হৃদয়, মির্জা আলী আশরাফ, মুহিব আলীসহ কদমতলী এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ও সিলেট জকিগঞ্জ বাস শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য বেশ কয়েক বছর ধরে সিলেট জকিগঞ্জ সড়কের ওভারব্রীজ এলাকায় অবস্থিত কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার দুদিকে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড। এ ছাড়া সিলেট জকিগঞ্জ সড়কের বাসগুলো হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানোসহ টমটম সিএনজি অটোরিক্সার কারণে সব সময় এ স্থানে যানজট লেগে থাকে। এখানে ওভারব্রীজের উপরে উঠার সিঁড়িতে প্রায় প্রতিদিন সাধারণ মানুষের মোবাইল চুরিসহ পকেটমারদের একটি চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সিএনজি স্ট্যান্ডে তীর জুয়া খেলারও অভিযোগ রয়েছে। সিঁড়ির কারণে রাস্তার উপর ও নিচে যানজটসহ যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা দীর্ঘদিন ধরে অপকর্ম চালিয়ে আসছে। গত কয়েকদিন আগে ওভারব্রীজ এলাকার স্কুল ও যানজটের উপর সিলেটের প্রবীণ সাংবাদিক চৌধুরী আমিরুল ইসলামের একটি লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওটির অংশ বিশেষ সংযুক্ত করে কদমতলী এলাকাবাসীর পক্ষে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন, রেজিঃ নং বি ১৪১৮ এর সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি মানবিক আবেদন জানানো হয়। সেই আবেদনটি বাস শ্রমিকদের নজরে পড়লে শ্রমিক নেতারা হাইড্রোলিক হর্ণ বাজানোকারী বাস চালককে তাৎক্ষনিক ৫শত টাকা জরিমানা করার নির্দেশ দেন।
অপরদিকে সিলেট ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ও বর্তমান উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা সিঁড়ি ভেঙে ফেলার জন্য সিটি মেয়রকে বার বার অনুরোধ করলে সিটি মেয়র ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বিষয়টি অবগত করেন। অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সিঁড়িটি অচিরেই ভেঙে ফেলা হবে বলে জানান কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপন। বিজ্ঞপ্তি