সুনামগঞ্জে একজনকে হত্যা একজনের লাশ উদ্ধার

5

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জে সালিস-বিচারের সময় পিটিয়ে ভাগনেকে হত্যা করাসহ হাওর থেকে এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন-সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বানায়ত গ্রামের মনর আলীর ছেলে সাদির আহমদ (৩০) ও মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের কার্তিকপুর গ্রামের ছেলে নুরুল ইসলাম করু মিয়া (৪৭)। সোমবার সকাল ৭টায় পৃথক স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ২টায় ছাতক উপজেলার বানায়ত গ্রামে একটি হত্যা মামলার আপোষের জন্য সালিশ বিচারের আয়োজন করে স্থানীয়রা। ওই সময় হত্যা মামলার আসামী মনছর আলী ও তার ভাগিনা সাদির আহমদকে ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ জরিমানা করেন গ্রাম্য বিচারকরা। সেই টাকা দেওয়ার বিষয় নিয়ে সালিস চলাকালীন সময় মামা মনছর আলী ও ভাগিনা সাদির আহমদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এঘটনার জের ধরে মামা তার লোকজন নিয়ে ভাগিনাকে বেধরক মারধর করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে মামা মনছর আলী ও তার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে উপস্থিত স্থানীয়রা ভাগিনা সাদির আহমদকে উদ্ধার করে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে, রবিবার রাত ১টায় মধ্যনগর উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামের হাওরে নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায় জেলে নুরুল ইসলাম করু মিয়াসহ অন্যান্যরা। ওই সময় হঠাৎ ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। তখন জেলে করু মিয়ার নৌকা ডুবে হাওরের পানিতে নিখোঁজ হয়ে যায়। এসময় অন্যান্য জেলেদের মধ্যে আজহার মিয়া, শাহ জাহান, রফিকুল ইসলাম ও দুলাল মিয়া সাঁতরে তীরে এসে কোন রকম নিজেদের জীবন রক্ষা করেন। এঘটনার পর সোমবার সকাল ৭টায় স্থানীয়রা মশারীর জাল টেনে নিখোঁজ জেলে কারু মিয়ার লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
ছাতক দোয়ারা রেঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক ও মধ্যনগর থানার ওসি ইমরান হোসেন পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাতকে ভাগিনা হত্যাকারী মামাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। অন্যদিকে মৃত জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।