হবিগঞ্জে ছাত্রী ধর্ষণ : নিরাপত্তা প্রহরীর শাস্তিসহ ৩ দাবি

7

 

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের বৃন্দাবন সরকারি কলেজে শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় নিরাপত্তা প্রহরী রোমান মিয়ার যথাযথ শাস্তিসহ তিন দাবি জানিয়েছে হবিগঞ্জের সচেতন নাগরিক ও অভিভাবক সমাজ। এক বিবৃতিতে এসব দাবির কথা জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর যথাযথ সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১০ জুলাই ২০২৩ তারিখে ওই কলেজে অধ্যয়নরত দুজন শিক্ষার্থীকে এক ঘণ্টার অধিক সময় ধরে একটি ভবনে আটকে রাখেন। অভিযোগকারী ছাত্রের ভাষ্যমতে ওই প্রহরী তাদের মারধর করেন এবং পরবর্তীতে তাদেরকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তাঁর সহপাঠী ছাত্রীকে একটি ফাঁকা কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী পরবর্তীতে আটক এবং মারধরের বিষয়টি স্বীকার করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িকভাবে চাকরি হতে বরখাস্ত করে। প্রহরী রোমান মিয়া বর্তমানে নিজের অপরাধ ঢাকার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে ঘটনাটিতে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার হীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে শহরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উক্ত ঘটনায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছে কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে জানিয়ে তারা আরও বলেন, আমরা মনে করি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটি সমাজের নৈতিকতা সৃষ্টির অন্যতম স্থান। সুতরাং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো জায়গায় এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। তাই দ্রæততম সময়ের মধ্যে এই ঘটনার বিচারের পক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব জরুরি।
হবিগঞ্জের সচেতন নাগরিক ও অভিভাবক সমাজের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি পীযূষ চক্রবর্তী, সহসভাপতি হুমায়ুন খান, সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জেলা বাসদ সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক তাহমিনা বেগম গিনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ চক্রবর্তী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিরুদ্ধ কুমার ধর শান্তনু, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জেলা শাখার সভাপতি বন্ধু মঙ্গল রায়, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান কাউছার, পরিবেশকর্মী তোফাজ্জল সোহেল, প্রগতি লেখক সংঘ জেলা আহŸায়ক সিদ্দিকী হারুন, বিশিষ্ট আইনজীবী শায়লা খান, সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ী মোছাম্মত রওশনআরা আক্তার, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী ইমদাদ খান, খোয়াই থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ইয়ছিন খাঁ, বাসদ (মার্কসবাদী) ’র জেলা সংগঠক শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক ও নাট্যকর্মী আজহারুল ইসলাম চৌধুরী মুরাদ, এক্টিভিষ্ট ও নারী অধিকার কর্মী মাহমুদা খাঁ, কবি ও নাট্যকর্মী জোসেফ হাবিব ও বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মাকসুরা বেগম।