সিলেটের ‘আতিয়া মহল জঙ্গি হামলা’ মামলার রায় আজ

17

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী আলোচিত অভিযানের ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধ আইনের মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ বুধবার। দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ রাতে শুরু হওয়া এ অভিযানের ছয় বছর পর আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মুমিনুর রহমান টিটু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ বুধবার আলোচিত এই মামলার রায় হতে যাচ্ছে।’ এর আগে গত ১৪ মার্চ মঙ্গলবার সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমীন বিপ্লবের আদালতে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি মুমিনুর রহমান টিটু এবং আসামি পক্ষে আইনজীবী আবুল কালাম ও শাহ্ আলম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ৫এপ্রিল রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলায় অভিযুক্ত তিন সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি এলাকার জহুরুল হক ওরফে জসিম (২৯), তার স্ত্রী মোছা. আর্জিনা ওরফে রাজিয়া সুলতানা (২১) এবং মো. হাসান (২৮)। অফিস সহকারী পদে চাকরির আবেদন করতে এসেছিলেন।
হেলাল এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘রবিবার আমি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরির আবেদন করতে এসেছিলাম। আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ করে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে গিয়ে সিলেটের আম্বরখানায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি অটোরিকশায় উঠি। তখন এ গাড়িতে ড্রাইভারসহ আরো দুজন যাত্রী ছিলেন। অটোরিকশায় উঠে কিছুদূর যাওয়ার পরই পেছনে বসা একজন আমার পেটে ছুরি ধরে বলে- যা কিছু আছে বের করে দে, চিৎকার করলে সমস্যা হবে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে প্যান্টের পকেটে থাকা ১১ হাজার টাকা বের করে দেই। এসময় তারা আরও যা আছে বের করে দিতে বলে। পরে তারাই আমার সাথে থাকা ব্যাগে রাখা ৪০ হাজার টাকা খুঁজে বের করে লুট করে নিয়ে যায়। ছিনতাই শেষে পাঠানটুলার একটু আগে স্কলার্সহোম স্কুলের সামনে আমাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে যায় তারা।’ওই টাকা হেলাল তার মায়ের চিকিৎসার জন্য রেখেছিলেন বলে জানান।
হেলাল জানান, ছিনতাইয়ের পর আরেকটি অটোরিকশা নিয়ে তিনি ছিনতাইকারীদের ধরতে চেষ্টা করেন এবং পেছন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছিনতাইকারীদের অটোরিকশা ভিডিও ধারণ করতে থাকেন। কিছুদূর এভাবে যাওয়ার পর ছিনতাইকারীদের অটোরিকশা থামলে হেলাল পথচারীদের ডেকে তাদের ধরতে সহায়তা চাইলে অটোরিকশা রেখেই ড্রাইভারও ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে শাবিতে থাকা পরিচিত একজনকে হেলাল কল দিলে তিনি এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় অটোরিকশাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে যান। ওই গাড়িতে চালকের আইডি কার্ড, মালিকের তথ্য ও সিএনজির যাবতীয় তথ্য ছিলো।
হেলাল জানান, ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত অটোরিকাশাটির নম্বর ‘সিলেট থ-১২-০৩৮৬’। কাগজপত্র থেকে জানা যায়, চালকের নাম সুমন আহমেদ এবং গাড়িটির মালিক সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুলের লুৎফুর রহমানের স্ত্রী মোছা. রুমি বেগম।
তবে হেলাল এখনো পুলিশকে ঘটনাটি জানাননি। অটোরিকশাটি শাবি ক্যাম্পাসে একটি গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে