সিলেটের পৃথক স্থান থেকে স্কুল শিক্ষিকা ও ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার

12

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে পৃথক স্থান থেকে এক স্কুল শিক্ষিকা এবং এক ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার দুপুরে পৃথক এই দু’টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর বন্দরবাজারের আবাসিক হোটেল আল ফয়েজ থেকে নাজিম উদ্দিন নাজির (৬০) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজলার হরিনগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র। নাজিম দ্বিতীয় তলার ১২ নাম্বার কক্ষে ভাড়া থাকতেন। পেশায় তিনি একজন ভিক্ষুক ছিলেন।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মত তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে গত শনিবার রাতে হোটেলে ঘুমিয়ে পড়েন। রবিবার সকালে ঘুম থেকে না উঠলে হোটেল স্টাফরা তার কক্ষে ডাকাডাকি করেন। এসময় কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করে। এর আগে ২০ জানুয়ারী শুক্রবার দুপুরে বন্দরবাজারের লালবাজারে অবস্থিত লাভলী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট থেকে শাহেদ মোশারফ (৩৫) নামে এক ভিক্ষুকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও মিয়াপাড়ার আব্দুল করিমের পুত্র।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তি নগরীতে ভিক্ষা করতেন। এটি একটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে জানান তিনি।
এদিকে, সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ভাড়া বাসা থেকে এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের জামাইপাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই সাব্বির আহমদ। নিহত সোনালী পাল সমাপ্তি শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাবিলাখাই গ্রামের মৃত নিবারণ চন্দ্রের কন্যা। ৩২ বছরের এই নারী শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সালেহ আহমদ বলেন, সোনালী পাল এক দশক ধরে আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। শহরের একটি বাসায় ভাড়া থেকে তিনি স্কুলে যাতায়াত করতেন। প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, সোনালী পাল রবিবার কোনো ছুটি নেননি। দুপুরে আমরা খবর পাই বাসা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। এর চেয়ে বেশি কিছু আমরা জানি না। লাশ উদ্ধারকারী সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই সাব্বির আহমদ জানান, এক কক্ষের ওই বাসায় শিক্ষিকা একাই থাকতেন। তার পরিবার সিলেটে বসবাস করেন। সকালে ওই শিক্ষিকার ভাই তার বাসায় এসে বোনের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। তিনি কান্নাকাটি শুরু করলে স্থানীয়রা এসে ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে দেখেন তিনি মারা গেছেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট দেখে আমাদের প্রাথমিক সন্দেহ তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে এ বিষয়ে অনুসন্ধান পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।