জগন্নাথপুরে কমদামে সরকারি চাল কিনতে অভাবী মানুষের দীর্ঘ লাইন

13

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক কমদামে বিক্রি হওয়া সরকারি ওএমএস এর চাল কিনতে অভাবী পরিবারের নারী-পুরুষ জনতা দীর্ঘ লাইন দিয়েছেন। এতেও অনেকের ভাগ্যে জুঁটছে না চাল। নিরাশ হয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ অপ্রতুল। তাই লাইনের প্রথম সারিতে দাঁড়ানো মানুষেরা চাল পেয়ে বেজায় খুশি হলেও পেছনে দাঁড়ানো মানুষজন চাল পাবেন কি না এমন আশঙ্কায় থাকেন। হাট-বাজারে চালের মূল্য বেশি থাকায় কমদামে চাল কিনতে ভোর থেকে ডিলারের দোকানে লাইন দেন অভাবী পরিবারের মানুষেরা। নিজের চোঁখে না দেখলে অনেকে তা বিশ্বাস করতে চাইবেন না। দিনেদিনে বেড়েই চলেছে অভাবী মানুষের লাইন। কাঙ্খিত চাল কিনতে পেয়ে সেই অভাবী মানুষের মলিন মুখে ফুটে উঠেছে হাসি।
গত প্রায় ৩ মাস ধরে জগন্নাথপুর পৌর এলাকায় ৩টি ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস এর সরকারি চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর পৌর সদরের রাণীগঞ্জ রোড এলাকায় থাকা ওএমএস ডিলার সুশান্ত কুমার রায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, কমদামে চাল কিনতে নারী-পুরুষ ও শিশুরা লাইন দিয়ে আছেন। সিরিয়াল অনুযায়ী চাল বিক্রি করছেন বশির আহমদ সহ ডিলারের লোকজন। লাইনের প্রথম সারির মানুষ আগে চাল কিনতে পারছেন। তাই প্রথম সারির লোকজনদের উৎফুল্ল দেখা গেলেও পেছনের সারির লোকজনদের মধ্যে অনেকটা না পাওয়ার শঙ্কা বিরাজ করছে।
মাত্র ৩০ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। যা হাট-বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে উন্নতমানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। যে কারণে কমদামে সরকারি ওএমএস এর চাল কিনতে প্রতিদিন ডিলারের দোকানে লাইনে আগে দাঁড়ানো নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা করেন অভাবী পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে ওএমএস ডিলার সুশান্ত কুমার রায় জানান, সপ্তাহে ৫ দিন চাল বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন বরাদ্দ পাই মাত্র একটন চাল। তা দিয়ে ২০০ জনের মধ্যে বিক্রি করা যায়। তাতে অভাবী মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সরকারি বরাদ্দ আরো বাড়ানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, ওএমএস চালের বরাদ্দ বাড়লে দরিদ্র পরিবারের মানুষজন আরো উপকৃত হবেন। তাই বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য খাদ্য মন্ত্রনালয়ে লিখিত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।