হলি আর্টিজান মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে বেঞ্চ গঠন

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
রাজধানীর হলি আর্টিজান মামলার আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মামলাটির শুনানির জন্য হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণ করেছেন। বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় জঙ্গিদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মধ্য দিয়ে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। টানা এক বছর মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে সাত আসামিকে মৃত্যুদ-াদেশ ও একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেওয়া হয়।
এরপর ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আসামিদের মৃত্যুদ- অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও খালাস চেয়ে করা আসামিদের জেল আপিল শুনানির জন্য মামলার নথিপত্র বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এ লক্ষ্যে বিচারিক আদালতের যাবতীয় নথি তথা মামলার এজাহার, জব্দ তালিকা, চার্জশিট, সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও রায়সহ মোট দুই হাজার ৩০৭ পৃষ্ঠার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় জমা করা হয়। পরে মামলার যাবতীয় নথিপত্র একত্রিত করে আপিল শুনানির জন্য উত্থাপনের জন্য পেপারবুক তৈরি করতে বিজি প্রেসে পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা।
পরে ২০২০ সালের ১৭ আগষ্ট হলি আর্টিজান হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে দ-প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল শুনানির জন্য তৈরিকৃত পেপারবুক বিজি প্রেস থেকে হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়।