আগুনে পুড়লো এমসি কলেজের টিলা, হাজার খানেক গাছ পুড়ে ছাই

15

এমসি কলেজ থেকে সংবাদদাতা :
মুরারিচাঁদ কলেজ ছাত্রাবাসের টিলায় আগুন লেগে প্রায় ৩ বিঘা জমির গাছপালা পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের (৭ম ব্লক) সামনের টিলায় আগুন লাগার এই ঘটনা ঘটে। এতে টিলার ছোট-বড় হাজারখানেক গাছ পুড়ে গেছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী কলেজ ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুনে গাছ পুড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পান হলের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে বাইরে এসে তারা টিলায় আগুন জ্বলতে দেখতে পান। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন এবং নিজেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
আগুন কিভাবে লাগছে জানা যায় নি। তবে শিক্ষার্থীদের মতে, বহিরাগত লোকেরা এখানে এসে ধূমপান সহ আড্ডা দেয়। হয়তোবা কারও ফেলে দেওয়া সিগারেটের আগুন থেকে নয়তো কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়েছে।
আগুন নেভাতে যাওয়া ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী আব্দুল কাদির জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের ৭ম ব্লক সংলগ্ন টিলা থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পাই। পরে আমরা হোস্টেলে যারা ছিলাম, তাদের নিয়ে সেখানে দৌঁড়ে যাই। গিয়ে দেখি দাউদাউ করে জ্বলছে টিলার গাছগুলো। আমরা ১৫-২০ জন মিলে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। আগুন নেভাতে গিয়ে আমার পা জখম হয়েছে এবং নতুন লুঙ্গি ও পুড়ে গেছে। এছাড়াও আরও অনেকের ক্ষতি হয়েছে। এভাবে প্রতিনিয়ত টিলায় আগুন লাগতে থাকলে একদিন সব গাছগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মোঃ আশরাফুল কবির বলেন, কলেজের সীমানা প্রাচীর না থাকায় বহিরাগতরা ছাত্রাবাসের টিলায় ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা বিড়ি-সিগারেট খেয়ে ফেলে দেয়ার ফলে বুশফায়ারে ছোট ছোট গুল্মে আগুন লেগে যায়। আর সেখান থেকেই এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ছাত্রাবাসের কর্মচারীদের সহায়তায় আগুন দ্রুত নেভাতে সক্ষম হওয়ার ফলে কোনো বৃক্ষের ক্ষতি হয় নি। বর্তমানে ছাত্রাবাসের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে ছাত্রাবাসের টিলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তখন কলেজ ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বড় ধরনের আগুন থেকে রক্ষা পায় টিলা। বছরখানেক আগেও টিলায় আগুন লেগেছিল বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে কলেজে প্রায় ৮০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়।