আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ

15

কাজিরবাজার ডেস্ক :
হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় এর আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জারি করা হয় নিয়োগের প্রজ্ঞাপন।
তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো.আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হাইকোর্ট বিভাগের কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথগ্রহণের তারিখ হতে আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ করেছেন।
বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম
আশফাকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জেলা আদালত ও ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ জুলাই তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দুই বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইতালি, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন। এছাড়া তিনি ২০১১ সালে কোরিয়াতে জুডিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অংশ নেন।
বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলামের বাবা সাবেক উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি একেএম নুরুল ইসলাম।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী
মো.আবু জাফর সিদ্দিকী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৫ সালে জেলা আদালতে এবং ১৯৯৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
তিনি ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ সফর করেন। এছাড়া তিনি ২০১১ সালে কোরিয়াতে জুডিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অংশ নেন।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন
জাহাঙ্গীর হোসেন এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালের ৩১ অক্টোবর জেলা আদালতে এবং ১৯৯১ সালের ৩১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
তিনি অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, নেপাল, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও মালয়েশিয়া সফর করেছেন।