উইমেন্স মেডিকেলের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিষেক ॥ ইন্টার্নের সময়কাল চিকিৎসকদের জীবনের সোনালী সময়

13
সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাদাগাউন প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্র্থীদের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অভিষেক উপলক্ষে সাদাগাউন প্রদান (হোয়াইট কোট) অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কলেজ অডিটোরিয়ামে এক জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সদ্য এমবিবিএস উত্তীর্ণ শিক্ষার্র্থীদের ১ বছরের ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবনে পদার্পণ শুরু হয়। এর মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের জন্য নিজেদেরকে তুলে ধরার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলো বলে মন্তব্য করেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।
উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. জিএম মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সহকারী অধ্যাপক ডা: হিমাংশু শেখর দাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্পন্সর কোম্পানী হলি সিলেট হোল্ডিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ এখলাছুর রহমান। আমন্ত্রিত সম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা: মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্পন্সর কোম্পানী হলি সিলেট হোল্ডিং লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম এ মতিন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডঃ মোঃ ওয়েস আহমেদ চৌধুরী ও সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ ফজলুর রহিম কায়সার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ শাহানা ফেরদৌস চৌধুরী, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইয়া অধ্যাপক ডাঃ মাহজুবা উম্মে সালাম, ইন্টার্ন কো অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা গোলাম মৌলা, নবীন চিকিৎসক ডঃ ইফ্ফা আহমেদ, ডাঃ নাবিহা হাসমী, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ তাহফীম আহমদ, সহকারী পরিচালক ডাঃ আবু তারেক রাসেল মিশু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চিকিৎসা পেশা হচ্ছে মানসেবামূলক পেশা। তাই আগামী দিনে যারা চিকিৎসক হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে চান তাদেরকে মানবিক গুণাবলী অর্জনের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার এই সময়ে আগামী দিনের চিকিৎসকদেরকে অবশ্যই মেধার রাজ্যে বিচরণ করতে হবে। ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে ১২ মাসের এই সময়টা হচ্ছে চিকিৎসকদের জীবনের স্বর্নালী সময়। তাই এসময়টাকে কাজে লাগাতে হবে। বিজ্ঞপ্তি