বড়লেখায় কালোবাজারে টিসিবি পণ্য বিক্রির অভিযোগে ডিলারকে শোকজ ॥ ইউপি মেম্বারসহ ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

4

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার ছুটির দিনে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত না করেই উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য পাচারকালে উপস্থিত জনতা চার বস্তা (২০০ কেজি) চিনি আটক করেন। এর আগে একজন ইউপি মেম্বারের সহযোগিতায় দুইশ’ উপকারভোগীর পাচার করা পণ্যের ৫০টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই ইউপি মেম্বার ও কালোবাজারে পণ্য ক্রেতার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া টিসিবি ডিলারকে শোকজ করেছেন ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য বিক্রয়ের জন্য ১১২৭ জন উপকারভোগী নির্ধারিত রয়েছেন। শুক্রবার ছুটির দিনে ইউএনও’কে না জানিয়েই টিসিবি ডিলার আতাউর রহমান অত্র ইউনিয়নে সকাল ১০ টা থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করেন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে লাইনে কার্ডধারী উপকারভোগী দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও ডিলার পণ্য শেষ হয়ে গেছে জানিয়ে তাদের বিদায় করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে ইউপি মেম্বার এমরান আহমদের উপস্থিতিতে মুদি ব্যবসায়ী সাইফুর রহমান ২০০ জনের প্যাকেট একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা হট্টগোল সৃষ্টি করেন। এছাড়া আরো ৪ বস্তা চিনি একটি অটোরিক্সায় পাচারকালে জনতা তা আটক করেন। এ নিয়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে একজন গ্রাম পুলিশ এতে আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ও পাচার হওয়া ২০০ প্যাকেটের মধ্যে ৫০ প্যাকেট ব্যবসায়ী সাইফুর রহমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দ পুলিশ নিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালান। কিন্ত এর আগেই সরিয়ে ফেলায় অবশিষ্ট ১৫০ প্যাকেট পণ্য উদ্ধার করা যায়নি। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মচারী শনিবার দুপুরে বাদি হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা করেছেন।
বড়লেখা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দ জানান, টিসিবি পণ্য বিক্রয়ে চরম অনিয়ম ও কালোবাজারে বিক্রির সাথে জড়িত ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ডিলারকেও শোকজ করেছেন।