মানকাডিং করা সেই দীপ্তিই এশিয়া কাপের সেরা

4

স্পোর্টস ডেস্ক :
এশিয়া কাপ শুরুর আগে বেশ ধকলই গেছে দীপ্তি শর্মার ওপর দিয়ে। ইংল্যান্ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে দলটির ব্যাটারকে মানকাডিং করে বিতর্কে চলে এসেছিলেন।
এরপর আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। মানসিক ধকলও যাওয়ার কথা তার ওপর দিয়ে।
টুর্নামেন্টের মাঝপথে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ছিল এ নিয়ে। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন কথা বলতে চান না। মুখে কথা না বললেও মাঠের পারফরম্যান্সে দীপ্তি ছিলেন দুর্দান্ত।
৮ ম্যাচে ওভার প্রতি ৩.৩৩ গড়ে রান দিয়ে হয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। ব্যাট হাতেও কার্যকরী ছিলেন। ২৩.৫০ গড় ও ১৩২.৩৯ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৯৮ রান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দীপ্তি জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কার।
এরপর এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকে আমরা যেভাবে পারফর্ম করেছি তাতে খুব খুশি। আমরা টিম মিটিংয়ে যা আলোচনা করেছি সেটাই প্রয়োগ করতে পেরেছি। আমি কেবল আমার শক্তির জায়গায় ফিরে গেছি, আর এটাই আমাকে টুর্নামেন্টে বেশ সাহায্য করেছে। উইকেট স্লো ছিল। আর টুর্নামেন্ট শুরু আগে আমি আমার ব্যাটিং নিয়েও কাজ করেছি। সেসব অনেক কাজে লেগেছে। ’
এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও ভারতীয়। জেমাইমাহ রদ্রিগেজ ৮ ম্যাচে ৬ ইনিংসে ৫৪.২৫ গড় আর ১৩৫.৬২ স্ট্রাইক ২১৭ রান করে এই তালিকায় সবার ওপরে। তার পরেই অবশ্য আছেন শ্রীলঙ্কার হারসিথা মাধবী, ৮ ম্যাচে ৮ ইনিংসে ২৫.২৫ গড়ে তার ২০২ রান করেছেন তিনি। তার স্ট্রাইক রেট অবশ্য ছিল ৯২.২৩। ৬ ম্যাচে ৬ ইনিংসে ব্যাট করে ভারতীয় ওপেনার শেফালি ভার্মা ২৭.৬৬ গড় ও ১২২.০৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ১৬৬। তালিকার তিনে আছেন তিনি।
বোলিংয়ে ৮ ম্যাচে সমান ১৩ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি দীপ্তি শর্মা ও ইনোকা রনভীরা। বাংলাদেশ লিগ পর্ব থেকে বাদ পড়লেও ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে লেগ স্পিনার রুমানা আহমেদ।