হত্যা ও হামলা করে আন্দোলন দমন করা যাবে না -মির্জা ফখরুল

4

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হত্যা ও হামলা করে এদেশে আন্দোলন দমন করে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। আজও তারা জেগে উঠছে।
লন্ডনে বিবিসিকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আওয়ামী লীগের আমলে নাকি নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু-সুন্দর হয়। উনার (প্রধানমন্ত্রীর) এ কথা শুনে ৃ ঘোড়াও হাসবে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জোড়পুকুর মাঠের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ঢাকা মহানগর জোন-২ খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানার যৌথ উদ্যোগে জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির প্রতিবাদ এবং ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যাসহ সারাদেশে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আসলে হাসিনা আজকে নাই। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে গেছেন। আজকে কথা নয়, সময় হচ্ছে কাজের। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। আমাদের সব অর্জনকে ধবংস করে দিয়েছে।
এদিন খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশে অংশ নেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি চলছে। লাখ লাখ টাকা পাচার করা হচ্ছে। বিদেশে ঘরবাড়ি তৈরি করছে। আর দেশে আমাদের মানুষদের হত্যা করছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সেলিমা রহমানকে (স্থায়ী কমিটির সদস্য) আঘাত করে, বরকত উল্লাহ বুলুকে (দলের ভাইস চেয়ারম্যান) হত্যার জন্য আঘাত করে, তাবিথ আউয়ালকে (নির্বাহী কমিটির সদস্য) হত্যার জন্য আঘাত করে, ভেলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধানকে হত্যা করে আন্দোলন দমন করা যাবে না।
সরকারের পদত্যাগের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। নতুন পার্লামেন্ট হওয়ার পর সরকার গঠন হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা সে লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হই। সব রাজনৈতিক দল ও মানুষকে এক করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই এবং দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার গঠন করি।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এ দেশ কারও বাবার রাজত্ব নয়। দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এখন থেকে আমাদের ওপর কোনো আক্রমণ হলে, আমাদের কর্মীরাও প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত থাকবে। আমরা এখন থেকে হামলা হলে প্রতিরোধ করবো, সন্ত্রাস অপসারণ করবো- এই হোক আজকের শপথ।
মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধার সভাপতিত্বে সমাবেশে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, শিরিন সুলতানা, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, ইশরাক হোসেন, হাবিবুর রশিদ হাবিব, মোশাররফ হোসেন খোকন, লিটন মাহমুদ, মোনায়েম মুন্না, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসকে জিলানী, রাজীব আহসান, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদারসহ মহানগরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।