শায়েস্তাগঞ্জে সুপ্তা হত্যা মামলার প্রধান আসামি মতিন গ্রেফতার

13

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর নামক স্থানে চলন্ত সিএনজি থেকে ফেলে শিক্ষিকা সুপ্তা দাশ হত্যা মামলার প্রধান আসামী সিএনজি চালক মতিন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত বুধবার বিকেলে চুনারুঘাট উপজেলার আইতন গ্রামে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মতিন মিয়া চুনারুঘাট উপজেলার বদরগাজি এলাকার মৃত আব্দুল হাসিমের পুত্র।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে র‌্যাব শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মতিন মিয়াকে হস্তান্তর করেন। র‌্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার নাহিদ হাসান এই তথ্য জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি জানান, র‌্যাব মতিন মিয়াকে বৃহস্পতিবার বিকেলে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাকে জ্ঞিাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে। পরবর্তিতে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড প্রার্থনা করা হবে। মামলায় অজ্ঞাত আসামী থাকলেও মতিন মিয়া প্রাথমিকভাবে সে একাই সিএনজিতে ছিল বলে জানায়।
উল্লেখ্য,গত ১১ আগস্ট শিক্ষিকা সুপ্তা রাণী দাশ সকালে বাড়ী থেকে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে স্কুলে রওয়ানা হন। এক পর্যায়ে তিনি ওই সিএনজির একমাত্র যাত্রী হয়ে পড়েন। কিন্তু সিএনজিটি স্কুলের রাস্তা থেকে ভিন্ন পথে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষিকা সুপ্তা সিএনজি থেকে লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই পুলক দাশের দাবি, তার বোনকে সিএনজি চালক মতিন মিয়ার সহায়তায় অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তি অপহরণ করে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে সুপ্তা সিএনজি থেকে লাফ দেয়। নিহত সুপ্তা হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের পবিত্র দাশের কন্যা। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।