জাতীয় পতাকা অবমাননা ॥ শোকজের জবাবে লিখিত জবাব দিলো হাবিব ব্যাংক

7

স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় শোক দিবসে জাতীয় পতাকা যথাযোগ্য মর্যাদায় অর্ধনমিত করে গত সোমবার ১৫ আগস্ট উত্তোলনের কথা থাকলেও পাকিস্তানি মালিকানাধীন হাবিব ব্যাংক লিমিটেড (এইচবিএল)-এর সিলেট শাখায় ঝাড়ুতে লাগিয়ে চরম অবমাননা করা হয় জাতীয় পতাকার।
এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে গত সোমবার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার ১৬ আগষ্ট দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন হাবিব ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তবে জবাবে তারা কী লিখেছেন তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ হাবিব ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে, জেলা প্রশাসক ছাড়া প্রশাসনের অন্য কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
জাতীয় শোক দিবসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কথা থাকলেও এইচবিএল-এর সিলেট শাখায় সোমবার সকালে ঝাড়ুতে পতাকা লাগিয়ে উত্তোলন করা হয়। ‘সিলেটে হাবিব ব্যাংকের কাণ্ড, ঝাড়ুতে বেঁধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন!’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এ সংবাদ প্রকাশের পরপরই প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। নেওয়া হয় দ্রুত পদক্ষেপ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের টিম। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গোয়েন্দা সংস্থার একদল সদস্য নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারস্থ হাবিব ব্যাংক লিমিটেডের সিলেট শাখা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর পরপরই সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদের নেতৃত্বে পুলিশের একট টিমও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে সেখানে আসে জেলা প্রশাসনের একটি টিম। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (স্থানীয় সরকার শাখা, তথ্য ও অভিযোগ শাখা, তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা, এনজিও শাখা) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে আসা টিমটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পতাকা উত্তোলকারী নিরাপত্তকর্মী ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে হাবিব ব্যাংকের সিলেট শাখা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানায়- জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী পতাকা উত্তোলনকারী ওই নিরাপত্তকর্মী ও তাদের দুজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কর্যালয়ে গিয়ে একটি লিখিত জবাব দাখিল করে আসেন। তবে এতে কী লেখা আছে তা জানাতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অসম্মতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেজবাহ উদ্দিনের জানতে চাইলে তিনি বলেন- বিষয়টি নিয়ে ডিসি স্যার কথা বলবেন। তাই আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারছি না। স্যার এখন মিটিংয়ে আছেন, তাই তিনি পরে কথা বলবেন।