পরিস্থিতি সামলাতে প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ নির্দেশনা

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় সঙ্কোচন করা, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেনাকাটা না করা, বিদেশ ভ্রমণ আরও সঙ্কুুচিত করা, মন্ত্রীদের গাড়ি নিয়ে ছোটাছুটি সীমিত করা, সরকারী-বেসরকারী গাড়ি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়াসহ ব্যয় সাশ্রয়ে এক গুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রীসভা বৈঠকে তিনি এসব নির্দেশনা দেন। সেই সঙ্গে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি উড়োজাহাজে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়িত্বে থাকা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি ভিকটিমকে (ধর্ষিতা বা নির্যাতিতা) প্রশ্ন বা জেরা করতে গিয়ে আদালতের অনুমতি ব্যতীত তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন না করার বিধান রেখে ‘এভিডেন্স (এ্যামেন্ডমেন্ট) এ্যাক্ট, ২০২২’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। একই সঙ্গে বিদেশী নৌযানের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সমুদ্রগামী দেশের সব নৌকা বা জাহাজে নির্দিষ্ট রং ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।
আগামী চার মাসের মধ্যে মৎস্য অধিদফতর এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস প্রিফিংয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, খরচ কমাতে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ জন্য প্রকল্পগুলোর ক্যাটাগরি করা হয়েছে- এ, বি, সি। ‘এ’ ক্যাটাগরির যেগুলো সেগুলো এখনই প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গুরুত্ব অনুযায়ী প্রকল্পগুলোকে ‘এ’, কোনগুলো ‘বি’ ও কোনগুলো ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ফেলবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির প্রকল্পের পুরো টাকা খরচ করা যাবে। ‘বি’ ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ করা যাবে। আর ‘সি’ ক্যাটাগরির প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন স্থগিত থাকবে।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, কেনাকাটাতে যথাসম্ভব যেগুলো এখনই, না কিনলে হবে না, সেই জাতীয় কেনাকাটা চলবে। যেগুলো আপাতত না কিনলেও চলবে, সেসব কেনাকাটা আপাতত স্থগিত থাকবে। বিদেশে প্রশিক্ষণের বিষয়ে তো এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়ে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ট্রেজারি থেকে বিল হয় এমন কোন বিদেশ ভ্রমণ এখন মন্ত্রণালয়গুলো করতে পারবে না।
সরকারী টাকায় সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে দরপত্রে থাকা দরদাতার ব্যয়ে প্রযুক্তি স্থানান্তর সংক্রান্ত যে বিদেশ সফর রয়েছে সেগুলো বন্ধ থাকবে না বলে জানান মন্ত্রীপরিষদ সচিব।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে খুবই জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে কোথাও কোথাও যদি এক ফসলী জমি থাকে, সেখানে তিন ফসল করার বিষয়টি চিন্তা করতে হবে। বাড়ির উঠানে শাক-সবজি এগুলো করতে হবে। সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অনুরোধ করেছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা জানি না, কালকে-পরশু চুক্তি হলো, কালকেই আবার ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে বোমাবর্ষণ হয়েছে। চুক্তি হয়েছে ইউক্রেন থেকে খাবারটা বেরিয়ে আসবে। বন্দর ছাড়া আসবে কীভাবে? এটা তো আমাদের নিয়ন্ত্রণে না। সরকার বিভিন্ন উৎস থেকে খাবার ও সার নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে হবে।
আমাদের বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। যেভাবে হোক আমরা যেন সাশ্রয়ী হই। অহেতুক জ্বালানি, বিদ্যুত ও টাকা-পয়সা খরচ না করি। আমি এরই মধ্যে আমার অফিস রুমে জানালার পর্দা তুলে দিয়েছি, ছোট লাইটগুলো বন্ধ রাখছি।
সরকারী-বেসরকারী গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব। টানা করোনাভাইরাস মহামারী ও সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও ব্যয় সাশ্রয় করতে হচ্ছে। বিদ্যুত, জ্বালানির সাশ্রয় ও রিজার্ভ রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ।
এর মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারী ব্যয় কমাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট খাতে বরাদ্দ অর্থ সাশ্রয় ও হ্রাস করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। আবার জ্বালানির ব্যবহার কমাতে মন্ত্রীদের গাড়ি নিয়ে বেশি ছোটাছুটি না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারী সব দফতরে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও ব্যয় সাশ্রয়ে নানা রকমের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিমানে দায়িত্বে থাকা সবাইকে শোকজের নির্দেশ : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি উড়োজাহাজে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়িত্বে থাকা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রীসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এখন থেকে এটা নির্ধারিত করে দিতে হবে। কেন দুটো উড়োজাহাজে ধাক্কা লাগল। উড়োজাহাজ তো একা একা ধাক্কা লাগতে পারে না, এখানে তো অনেকেই ডিউটি করে। এটা ওয়ার্ক আউট করে প্রত্যেকটা কাজের দায়িত্ব ভাগ করতে হবে। ওই সময়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন সবাইকে এ দায় বহন করতে হবে। কীভাবে এটা হলো দ্রুত নির্ধারিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ঘটনা আর চলতে দেয়া যাবে না।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ধরেন ওইদিন ধাক্কা খেল। যারা এর সঙ্গে জড়িত, একজন দুজন তো আর জড়িত না। একজন পুশ করে একজন পাইলট থাকে বা গার্ড থাকে ও ক্লিয়ারেন্স দেয়, ট্রাফিকে যারা থাকে তাদের সবাইকেই শোকজ করতে বলা হয়েছে।
গত ২৬ জুন রাত ৯টায় শাহজালালে বিমানের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজকে হ্যাঙ্গারে প্রবেশ করানোর সময় সেখানে পার্ক করে থাকা বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের একটি পাখা এবং পাখার নিচের অংশে আঘাত লাগে। এতে ৭৩৭ উড়োজাহাজের বাঁ ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটির ডান ডানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত ১০ এপ্রিল দুপুরে বিমানের বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ হ্যাঙ্গারে প্রবেশ করানোর সময় সেখানে পার্ক করে থাকা বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ফলে ৭৭৭ উড়োজাহাজের র‌্যাডোম ও সামনের বাল্কহেড এবং ৭৩৭ উড়োজাহাজের বাঁ দিকের আনুভূমিক স্ট্যাবিলাইজারের কোনার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সময় দায়িত্বে অবহেলার জন্য বিমানের পাঁঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়।
সমুদ্রগামী সব নৌযানে নির্দিষ্ট রং ও নম্বর দেয়ার নির্দেশ : বিদেশী নৌযানের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সমুদ্রগামী দেশের সব নৌকা বা জাহাজে নির্দিষ্ট রং ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। আগামী চার মাসের মধ্যে মৎস্য অধিদফতর এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।
সোমবার মন্ত্রীসভা বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপস্থাপন করা ‘সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা, ২০২২’ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ইমেডিয়েটলি সব নৌযানে নির্দিষ্ট রং ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিতে হবে। মিয়ানমারের কিছু নৌকা আমাদের সীমানায় ঢুকে যাচ্ছে। ২০-৪০ হাজার নৌকার মধ্যে বাইরের দু-পাঁচটা নৌকা ঢুকে গেলে সেগুলো চিহ্নিত করা খুব মুশকিল। ভারতীয় নৌকাগুলোর কিন্তু একটা কালার আছে, রেজিস্ট্রেশন নম্বরও আছে। যেহেতু রেজিস্ট্রেশন নম্বর লাগবে সে জন্য আজ মন্ত্রীপরিষদ থেকে যত দ্রুত সম্ভব এটি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য আইন অনুযায়ী একটি নীতিমালা করা হয়েছে। ২০টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যেন আমরা সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ একটা সিস্টেমে আনতে পারি। এ লক্ষ্যে প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়েছে। সমুদ্রে যত নৌযান মাছ ধরে সেগুলোকে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করা কঠিন। তাই এ মুহূর্তে সামুদ্রিক সব নৌযানকে নির্দিষ্ট রঙের নম্বর দিতে হবে। যেন সেগুলোকে সহজে চিহ্নিত করা যায়। সবুজ, লাল অথবা অন্য যে কোন রং দেয়া হোক, এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, মৎস্য সচিব জানিয়েছেন এরই মধ্যে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নম্বর তারা দিয়ে দিচ্ছেন। মন্ত্রীসভা থেকে নম্বরের পাশাপাশি রং দিতেও বলা হয়েছে। সুবজ বা লাল রং না হলে যেটা সুবিধা হয় সেটা দিয়ে নম্বর দিতে হবে। নম্বর দিয়ে তিন-চার মাস সময়ও বেঁধে দিতে হবে, এরপর যেন নম্বর ছাড়া কোন নৌকা সাগরে নামতে না পারে। রেজিস্ট্রেশন নম্বরটা দেবে মৎস্য অধিদফতর।
তিনি বলেন, চার মাসের মধ্যে নৌকা বা শিপ যেগুলো সমুদ্রে যাবে সেগুলোর নির্দিষ্ট রং করে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিতে হবে। সমুদ্রের জন্য কোন কালারটা সুইটেবল হবে সেটা মৎস্য অধিদফতর ঠিক করবে। যেন দূর থেকে সেই নম্বরটি চোখে পড়ে। লাল বা সবুজ রং নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বর্তমানে সমুদ্রে এ ধরনের নৌযানের সংখ্যা কমপক্ষে ১০ হাজার হবে।
অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত চরিত্র নিয়ে জেরা করা যাবে না
ভিকটিমকে (ধর্ষিতা বা নির্যাতিতা) প্রশ্ন বা জেরা করতে আদালতের অনুমতির বিধান রেখে ‘এভিডেন্স (এ্যামেন্ডমেন্ট) এ্যাক্ট, ২০২২’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। সোমবার মন্ত্রীসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, গত ১৪ মার্চ মন্ত্রীসভায় আইনটি আনা হয়েছিল। তখন নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কয়েকটি সংশোধনী আনা হয়েছে। যিনি ভিকটিম থাকবেন তার চরিত্রের বিষয়ে অনেক সময় প্রতিপক্ষ থেকে চরিত্রহীন হিসেবে প্রমাণ করার একটা প্রবণতা থাকে। সেটা সীমিত করে দেয়া হয়েছে যে, স্টেটওয়ে কারও চারিত্রিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে গেলে আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
আদালত যদি মনে করেন, কারণ সবক্ষেত্রে আউটলাইন করে না দেয়া হয় তাহলে অনেক ক্ষেত্রে খারাপ লোকজনও থাকতে পারে যে ট্র্যাপ করে করে ভাল একজন লোককে ট্র্যাপে ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালত বিবেচনা করবেন কারও চারিত্রিক বিষয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবে কি না।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘ডিজিটাল কোর্টকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে বিধায় কিছু সংশোধনী আনার প্রয়োজন হয়েছে। যাতে ডিজিটাল কোর্ট, ডিজিটাল সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হয়। কারণ এভিডেন্ট আইনে এটা ছিল না।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আইনটির ক্ষেত্রে তথ্য বা ডাটা ব্যবহার করা হবে। শুধু তথ্যকে সংযুক্ত করা ছিল। যেসব তথ্য আসবে সেগুলো সাক্ষ্য হিসেবে নেয়া যাবে। মন্ত্রীসভা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে যে ডাটাকেও (সাক্ষ্য হিসেবে) নিতে হবে।
সংশোধিত আইনে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল রেকর্ডকে বিবেচনা করা হবে। এটা আগে ছিল না। আগে ছিল- কলা, হস্তরেখা ইত্যাদি। আইনটি ১৮৭২ সালের অ্যাক্ট, আইনটি শীঘ্রই বাংলা করতে বলা হয়েছে।