ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আম্বরখানা থেকে সুরমা পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে যানবাহনে যাত্রী উঠা-নামা নিষেধ

2
সিসিক, এসএমপি ও পরিবহন সংগঠনের যৌথ সভায় বক্তব্য রাখছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

স্টাফ রিপোর্টার :
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরীর দোকান-পাট, শপিং মল বিপণী বিতানে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে যানজট নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার নগরভবনে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আহবানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- ঈদ উপলক্ষে বিশেষ এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সিলেট সিটি কর্পোরেশন, সিলেট মহানগর পুলিশ এবং সিলেটের সকল পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত হিসেবে সমন্বিতভাবে যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ বুধবার থেকে ধাপে ধাপে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
বৈঠকে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয় পক্ষের চলাচল নিরাপদ করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সিসিক, এসএমপি এবং পরিবহন সংগঠন সংশ্লিষ্টরা মাঠে কাজ করলে যানজটমুক্ত পরিবেশে এবারের ঈদের কেনাকাটা করতে পারবেন সিলেট নগরবাসী। এজন্য সিসিক মেয়র বাণিজ্যক ও ব্যক্তিগত সকল পর্যায়ের পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করতে অনুরোধ জানান। সিলেটে ঈদ বাজার নিরাপদ রাখতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বিশেষ নজরদারির আহবান জানান মেয়র। বৈঠকে পরিবহন শ্রমিক, সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও মহানগর পুলিশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়, সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি এবিএম নায়হানুল বারী, পুলিশ পরির্দশক দেলোয়ার হোসেন খান, সিলেট জেলা বাস মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মুহিম, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু সরকার, জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাকারিয়া, সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজাদ মিয়া, সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন, সিলেট সদর উপজেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জামাল খান, সাধারণ সম্পাদক আফরুজ মিয়া, পরিবহন শ্রমিক নেতা বদরুল ইসলাম, কবির হোসেন, মো. ইউসুফ আলী, কামরুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ প্রমুখ।
বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ:
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ও বাণিজ্যিক এলাকায় যত্রতত্রভাবে গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। ঈদ কেনা কাটায় আগত নাগরিকদের চলাচল নিরাপদ ও স্বাভাবিক রাখতে মাঠে কাজ করবে সিসিক, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও মহানগর পুলিশের স্বেচ্ছাসেবক দল। ঈদ উপলক্ষে নগরীর আম্বরখানা থেকে সুরমা পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে কোন ধরণের যান বাহন স্ট্যান্ড বা দাড় করিয়ে যাত্রী উঠা বা নামা করতে পারবে না। নগরীর বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সড়কে কোনো ধরণের যানবাহন পার্কিং করতে পারবে না। নির্দেশনা না মানলে তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নগরীর প্রবেশ পথ হুমায়ূন রশিদ চত্বর, কদমতলী পয়েন্ট, চন্ডীপুল পয়েন্ট, আম্বরখানা ও শিবগঞ্জ এলাকার সড়কসমূহে কোনো ধরণের যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে না। সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের প্রবেশ পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোনো ধারণের যানবাহন পার্কিং করা যাবে না।
নগরীর জিন্দাবাজার ও সংলগ্ন এলাকায় ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে রিকশা চলাচলের নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়িয়ে রাত ১২ টা পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের সাথে বিশেষ সহযোগিতা করবে সিলেট মহানগর পুলিশ।
সিলেট মহানগরীর এলাকা সমূহে অনুমোদনহীন ইজি বাইক, টমটম ও সিএনজি অটোরিক্সার চলাচল বন্ধে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশেষ করে লাইসেন্সবিহীন যান চলাচল বন্ধে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হবে।