বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সিলেট বিভাগের ৩ দিন ব্যাপি লোক সংস্কৃতি উৎসব আজ শুরু

4

বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ৪০ বছর উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সিলেট বিভাগের আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপি লোক সংস্কৃতি উৎসব আজ থেকে শুরু হচ্ছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাই কমিশন – ঢাকা এর পৃষ্ঠপোষকতায় সিলেটের কিন ব্রীজ ও আলী আমজাদের ঘড়ি সংলগ্ন এলাকা জুড়ে ২৯, ৩০ ও ৩১ মার্চ এই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন সিলেট ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় তিন দিন ব্যাপী এ আয়োজনে থাকছে মণিপুরিনৃত্য, লোকনৃত্য, লোকগীতি, লোকনাট্য, ঢাক-বাদন, বিয়ারগীত, ঝুমুর-নৃত্য, কাঠি নৃত্য, পুথিপাঠ, পালানাটক, লাঠি খেলা, আইলামবর, মালজোড়া, ইত্যাদি।
উৎসবে সিলেট বিভাগের ৪জেলা থেকে আগত দল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক শিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন।
এছাড়াও উৎসব প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে কুষ্টিয়া থেকে আগত লোক বাদ্যযন্ত্রের স্টল ও লোক বিষয়ক বইয়ের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সিলেট এম এ জি ওসমানী অঞ্চলের বাস্তবায়নে ৩ দিন ব্যাপি এ উৎসব প্রতিদিন বিকেল ৫টায় শুরু হয়ে শেষ হবে রাত ১০টায়।
এ উৎসবের আয়োজক বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক রজত কান্তি গুপ্ত জানান বিগত প্রায় চারদশকের বেশি সময় ধরে দেশবাপী ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের উৎস অনুসন্ধান করে আসছে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার।
আমাদের উদ্দেশ্য বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক চেতনাকে সুসংহত করে ভবিষ্যতের অভিসারী করা।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার ‘সিলেট বিভাগীয় লোকসংস্কৃতি উৎসব’ এ তিনি সকল শ্রেনী ও পেশার মানুষের উপস্থিতি প্রত্যাশা করেন।
উল্লেখ্য “হাতের মুঠোয় হাজার বছর আমরা চলেছি সামনে” এই শ্লোগান নিয়ে গঠিত ৬ মাঘ ১৩৮৮ বঙ্গাব্দ, ২০ জানুয়ারি ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ সেলিম আল দীন, ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠন ঢাকা থিয়েটার। বর্তমানে সারা দেশে দুই শতাধিক সংগঠন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের আদর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সারা দেশের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য ৩৬টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এ সকল অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছেন আঞ্চলিক সমন্বয়কারীগণ। আঞ্চলিক সমন্বয়কারীদের কাজের তত্ত্বাবধান করেন ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ৮ জন বিভাগীয় সমন্বয়কারী।
সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না। দেশের লোকজ সংস্কৃতির ধারক বাহক হিসাবে এগিয়ে চলছে সংগঠন টি। খুব সংক্ষিপ্ত ভাবে ইতিহাস বর্ণণা করলে যেতে হয় ৮০ দশকে। ঢাকা থিয়েটারের তত্ত্বাবধায়নে ৬ মাঘ ১৩৮৮ বঙ্গাব্দ, ২০ জানুয়ারি ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দ সালে মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার তালুকনগর গ্রামে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সেলিম আল দীন ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ।
এরই ধারাবাহিকতায় বর্ণনাত্মক নাট্যরীতি ও বর্ণনাত্মক অভিনয় রীতি বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার। গ্রাম থিয়েটারের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ঐতিহ্যবাহী (লোক) সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও চর্চা অব্যাহত রাখার জন্য কাজ
করা। হাজার বছরের বাঙালি সাংস্কৃতিক বিকাশে গ্রাম থিয়েটার যে লোকজ উৎসব গুলো করে তা আমাদের আকাশ সংস্কৃতির জুগে শেকড় আকড়ে ধরে রাখে যারা নিঘাত সাংস্কৃতিক কর্মীদের জন্য এক মহা অনুপ্রেরণা। বিজ্ঞপ্তি