জেলা প্রশাসকের সাথে সিলেট চেম্বার সভাপতি ও সিএনজি ফিলিং স্টেশন এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের বৈঠক ॥ সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকদের সমস্যাবলী সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস

6
সিলেটের সিএনজি স্টেশন মালিকদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করছেন সিলেট চেম্বার সভাপতি ও সিএনজি স্টেশন ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।

২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিলেট চেম্বার এর সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওর্নাস এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগের নেতৃবৃন্দ সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান এর সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সভায় বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগের নেতৃবৃন্দ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ব্যবসায় বিরাজমান সুবিধা অসুবিধা সমূহ লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরেন এবং এসব সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ মজিবর রহমান বলেন, জ্বালানী খাত সরকারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ খাতের সাথে জড়িত সিএনজি স্টেশন মালিকদের সুবিধা-অসুবিধা দেখা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি সিএনজি স্টেশন মালিক এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক উত্থাপিত সমস্যাসমূহ সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
মতবিনিময় সভায় সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশন মালিকগণ গ্যাসের অনুমোদিত লোড বৃদ্ধির জন্য জালালাবাদ গ্যাস, পেট্রো বাংলাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দীর্ঘদিন থেকে দাবী জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অতিরিক্ত গ্যাস বিক্রির কারণে বিভিন্ন সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন দেয়া হচ্ছে। যার জন্য সিলেট সহ সারাদেশের সিএনজি স্টেশন মালিকগণ খুবই উদ্বিগ্ন ও হতাশ। তাই তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগের সভাপতি ও সিলেট চেম্বারের সাবেক পরিচালক জনাব আমিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমরা পেট্রোবাংলার নির্দেশানুযায়ী প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত গ্যাস বিক্রি বন্ধ রাখি। কিন্তু দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানী চাহিদার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লোডের অতিরিক্ত গ্যাস বিক্রয় করতে হয়। গ্যাসের অনুমোদিত লোড বৃদ্ধির জন্য আমরা জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ বরাবরে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছি কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোন সুরাহা আমরা পাইনি। উপরন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত গ্যাস বিক্রির জন্য সিএনজি স্টেশনগুলোর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। যা মোটেও কাম্য নয়। তিনিও এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটর্স, এজেন্ট্স এন্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বারের সাবেক সহ সভাপতি জনাব জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, দৈনিক ১২ ঘন্টা হিসেবে, মাসিক ২৬ দিনের লোড গণনার প্রক্রিয়া অযৌক্তিক, কারন প্রতিদিন গ্যাস বিক্রয় এক রকম থাকে না। এছাড়াও দেশের ক্রমবর্ধমান যানবাহন বৃদ্ধির আলোকে জ্বালানির চাহিদা বিবেচনায় এ হিসাবটি বাস্তবতা বহির্ভূত। দেশের অন্যান্য গ্যাস বিপণন প্রতিষ্ঠানের ন্যায় জালালাবাদ গ্যাসের আওতাধীন সিএনজি স্টেশন সমূহের গ্যাস বিক্রয়ের লোড বৃদ্ধি করা একান্ত আবশ্যক। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। জেলা প্রশাসক গ্যাসের লোড বৃদ্ধি এবং সিএনজি স্টেশন সমূহের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে বিষয়টি জরুরীভিত্তিতে সুরাহার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক ও বাংলাদেশ ট্যাংক লরী ওনার্স এসোসিয়েশন, সিলেট বিভাগের সভাপতি জনাব হুমায়ুন আহমেদ, সিএনজি ফিলিং স্টেশন এন্ড কনর্ভাসন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশনের সদস্য কামাল উদ্দিন, আব্দুল্লাহ খালেদ, গাজী মোঃ জাফর সাদেক, ওয়ালি মাহমুদ, ফরহাদ আলী ইমন, ইফতেখার আহমদ, মোঃ ফয়েজ উদ্দিন আহমদ, আলহাজ্ব কাজী মাহবুব হোসেন, রেজওয়ান আহমদ চৌধুরী, লোকমান আহমদ মাছুম, মোঃ ফরিদ আহমদ, স্যার জন রাসু, এড. নাদিম রহমান, সাজুওয়ান আহমদ, স্বপন কান্তি দাস, আখতার ফারুক লিটন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি