সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় একজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

5

স্টাফ রিপোর্টার :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সাবেক রেলমন্ত্রী ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় হত্যারচেষ্টা ও বিস্ফোরণের পৃথক মামলায় একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল শাহরিয়ার কবিরের আদালতে সালিকুর রহমান (জখমী) এ সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ নিয়ে এ দু’মামলায় ইতিপূর্বে ২জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে ২০০৪ সালের ২১ জুন একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশে তখন প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ওই ঘটনায় তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক যুবলীগের কর্মী ঘটনাস্থলেই নিহত ও ২৯ জন আহত হন। ওই ঘটনায় দিরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়েছিল।
সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এডভোকেট সারওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল বলেন, গ্রেনেড হামলায় হত্যারচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলারই সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। তিনি বলেন, ২৩ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধায্য করেছেন আদালত।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দুই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন এক সাক্ষী। তিনি সাধারণ মানুষ। ওই হামলায় তিনিও আহত হয়েছিলেন। সাক্ষ্য চলাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত আসামিরা। তিনি বলেন, সাক্ষ্য প্রদানের পর সাক্ষীকে জেরা করা হয়নি।
২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলার অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারকার্য শুরু হয়। গত বছরের অক্টোবরে মামলার এক সাক্ষী চিকিৎসক সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। মামলার আসামিদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছসহ ১৩ জন রয়েছেন।
গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণকালে জামিনে থাকা অভিযুক্ত আরিফুল হক চৌধুরী, জি কে গউছ, কারাগারে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও জঙ্গী আসামীরাও উপস্থিত ছিলেন। মামলায় ১২৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো।